এবারের লোকসভা নির্বাচনে অসমে বিজেপি–এজিপি–ইউপিপিএল জোট ১১টি আসন পেয়েছে। আর কংগ্রেস তিনটি আসন জিতেছে। এই রাজ্যে ১৪টি লোকসভা আসন। তার ফলাফল হয়েছে এমনই। আর তাতেই ক্ষেপে উঠেছেন অসম𝕴ের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এই ফলাফল নিয়ে তিনি যা বলেছেন তাতে আবার নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বাংলাদেশের বংশদ্ভূত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। যেখানে এই রাজ্যের যাবতীয় উন্নয়নের কাজ করে চলেছে বিজেপি। এই মন্তব্যই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এদিকে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, অসমের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘একমাত্র বাংলাদেশি বংশদ্ভূত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দেয়। যদি আমরা ৩৯ শতাংশ ভোট যা কংগ্রেস পেয়েছে তার পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যাবে এটা সারা রাজ্যে ছড়াবে না। এর ৫০ শতাংশ ভোট ২১টি বিধানসভায় সীমাবদ্ধ। যা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। এই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলি থেকে ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি।’ এখানে সরাসরি সংখ্যালঘুদের নিশানা করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।ܫ এমন মন্তব্য কোনও🍸 মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেন কি? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: বঙ্গ–বিজেপির উপর ভরসা হারাল আরএসএ♚স, ভোট পরবর্তী হিংসা ই𒀰স্যুতে আজ রাজপথে
অন্যদিকে হিমন্ত বিশ্বশর্মার ক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তিনি অগ্নিশর্মা হয়ে উঠেছেন। তাই তাঁর দাবি, যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলি কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে এবং সেটা আবারও করেছে। অথচ রাস্তা এবং বিদ্যুৎ না থাকা সত্ত্বেও ভোট দিয়েছে। এই রাজ্যে বিজেপি কাজ করছে অসমের মানুষ এবং আদিবাসীদের জন্য। অথচ বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা শাসকদলকে ভোট দিচ্ছে না। এই𒉰 𓃲বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘এটা প্রমাণ করে হিন্দুরা সাম্প্রদায়িকতাকে উসকানি দেয় না। কেউ যদি অসমে সাম্প্রদায়িকতাকে উসকানি দেয় তাহলে সেটা একটা সম্প্রদায়, একটা ধর্ম। অন্য কোনও ধর্মের মানুষ সেটা করে না।’