অসমে জটিলতর হল বন্যা পরিস্থিতি। বুধবার পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে বন্যার প্রকোপে পড়েছেন ৩৫ লাখের বেশি বাসিন্দা। গতকাল ৬ 🔯জনের ম🎃ৃত্যুর জেরে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৬।
অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর (ASDMA) জানিয়েছে, ৩,৩৭৬ গ্রামের ২৬টি জেলার মোট ৩৫.৭৩ লাখ অধিবাসী বন্যার কবলে পড়েছেন। গতকাল বন্যায় ডুবে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে শোনিতপুর, বরপেটা, গোলাঘাট ও মোরিগাঁও থেকে। এ ছাড়া, এখনও পর্যন্ত লাগাতার বৃষ্টির জেরে ধসের কারণে মারা গি🌌য়েছেন ২৬ জন।
বানভাসি এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৩৬ হাজারের বেশি 𝔉বাসিন্দা। তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ৬২৯টি ত্রাণশিবিরে। প্রায় ৪,০০০ দুর্গতকে বন্যা কবলিত অঞ্চল থেকে নৌকায় উদ্ধার করেছেন ত্রাণকর্মীরা।
বন্যার জলের তোড়ে ভাসে গিয়েছে রাস্তা⭕, নদীবাঁধ ও সেতু। বুধবার বরপেটা জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিনটি সেতু। বরপেটায় আরও একটি সেতু ভেঙে ꧋পড়েছে। ভূমিক্ষয়ের খবর এসেছে নলবাড়ি, বাকসা, বনগাইগাঁও ও কোকরাঝাড় থেকে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া কমিশন জানিয়েছে, অসমের অধিকাংশ নদীর জলস্তরই অতিরিক্ত বর্ষণের জেরে বিপদসীমার কাছারাছি বইছে। বেশ কিছু জায়গায় বিপদসীমার উপরে বইছে ব্রহ্মপুত্র, ধানসিড়ি, জিয়া ভরালি, কোপিলি,💛 বেকি ও কুশিয়ারা নদ ও নদী।&n♏bsp;
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একশৃঙ্গ গণ্ডারের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্র প্রকꦏল্প। কর্তৃপক্ষ🐲 জানিয়েছে, ৪৩০ বর্গ কিমি জুড়ে গড়ে ওঠা জাতীয় উদ্যানের ৯০% এলাকাই বর্তমানে জলে ডুবে রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত কাজিরাঙার বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে দুটি গণ্ডার, ৫টি বন্য শুয়োর, একটি সোয়াম্প ডিয়ার, ১৪টি হগ ডিয়ার ও একটি সজারু। এ ছাড়া ১২টি হগ ডিয়ার গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছে।