প্রবল বর্ষণের জেরে হড়পা বানে আফগানিস্তানে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩০০ জনের। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য সংস্থার তরফ থেকে এই সংখ্যা জানানো হয়েছে। হাজারের ওপর বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ইতিমধ্যেই ত্রাণের কাজ শুরু করেছে ইউএন। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক মানুষ। শুক্রবার রাতে আফগানিস্তানের উত্তর অঞ্চলের বাঘলান প্রদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসে। প্রবল বৃষ্টির কারণে হড়পা বানে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাঘলানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আধিকারিক ইদায়াতুল্লাহ হামদর্দ জানিয়েছেন, বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি জেল🧔ায় বাড়িঘর ও সম্পত্তিরও ক্ষতি হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: নমাজ পড়ার সময় মসজিদে এলোপাথার𝓀ি গুলি, ৬জনের মৃত্যু আফগানিস্তানে, জানাল তালিবান
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রাদেশিক🍰 মন্ত্রꦉকের তালিবানের মুখপাত্র আবদুল্লাহ জনান সাইক বলেছেন, এদিনের হড়পা বানে রাজধানী কাবুলের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাদ্য ও অন্যান্য সাহায্যের জন্য উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। এখনও এই সমস্ত এলাকায় উদ্ধারকার্য পুরোদমে চলছে। উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার পর হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আরও স্পষ্টভাবে জানা যাবে বলে আবদুল্লাহ জানিয়েছেন।
জ🔴ানা গিয়েছে, এদিনের বৃষ্টি ও হড়পা বানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রদেশটি পাঁচটি জেলা। এছাড⛎়াও এই অঞ্চলে দুটি ঝড়ের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে জলের স্রোতে কীভাবে বাড়িঘর ভেসে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে আফগানিস্তানে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বন্যায় এখানে ১০০ জনেরও ꦰবেশি মানুষ মারা গিয়েছেন।
পড়ুনঃ আফগানিস্তানে হিন্দ🃏ুদের সম্পত্তির অধিকার মানছে 🐼তালিবান, মুখ খুলল ভারত
এদিনের দুর্যোগের পরে বাঘলান প্রদেশে উদ্ধারকার্য শুরু হয়। তবে রাতের দিকে ব্যর্থ হয় উদ্ধারকাজ। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজের জন্য সে🐻নাবাহিনী নামানো হয়েছে। তারা নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান চালাচ্ছে। যে সমস্ত মানুষজন ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের পরিবারকে খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় কমপক্ষে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাছাড়া, ২০০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। তিনটি মসজিদ এবং চারটি স্কুলও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে🎀ছিল। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন। এছাড়াও, সেইসময় বন্যায় প্রচুর কৃষি জমির ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। আড়াই হাজারেরও বেশি গ🌺বাদি পশু মারা গিয়েছিল।