রাজীব জয়সওয়াল
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শনিবার ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের ঋণ ও আমানত কার্যক্রমের ‘মূജল’ ক্ষেত্রগুলিতে ( core area) মনোনিবেশ করতে বলেছেন, পূর্বের মন্দার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উদ্ভাবনী এবং আকর্ষণীয় প্রকল্পের মাধ্যমে🏅 আমানত সংগ্রহের ‘পুরানো ধাঁচের’ পদ্ধতি অবলম্বন করে উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমানত এবং ঋণ একটি কার্টের দুটি চাকা, এবং আমানত ঋণ দেওয়ার চেয়ে ধীর গতিতে চলছে। নয়াদিল্লিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) কেন্দ্রীয় বোর্ডের সাথে বাজেট পরবর্তী বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্থমন্꧒ত্রী বলেন যে তিনি শীঘ্রই সরকারী ♓প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন এবং অগ্রাধিকার-ক্ষেত্রের ঋণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাংকিং খাতের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করবেন।
এর আগে ব্যাংকিং খাতে আমানত-ঋণের 🍃অস꧒ামঞ্জস্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঋণ ও আমানতের সুদহার নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়ার বিষয়টি ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, ব্যাঙ্কগুলি শীঘ্রই দা𝓰বি করা হয়নি এমন আমানত নিষ্পত্তির জন্য অভিযান শুরু করবে। এমনকি গত বছরও একই ধরনের অভিযান চালানো হয়েছিল, যেখানে প্রতিটি ব্যাঙ্ক শাখা তাদের দাবিহীন আমানতের সংখ্যার উপর নির্ভর করে সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে শীর্ষ ১০টি মামলা নিষ্পত্তির জন্য সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিয়েছিল।
অভিযানের ফলাফল সন্তোষজনক বলে জানান দাস। আনক্লেইমড ডিপোজিটস গেটওয়ে টু অ্যাকসেস ইনফরমেশন বা 'ইউডিজিএএম' নামে একটি ডেডিকেটেড পোর্টাল রয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ তাদের দাবিহীন আমানত যাচাই করতে পারে এবং একই দাবি করতে পারে। আরবিআইয়ের একটি উদ্যোগ, পোর্টালটি নথিভুক্ত ব্যবহারকারীদের কেন্দ্রীভূত পদ্ধতিতে এক জায়গায় একౠাধিক ব্যাঙ্কের দাবিহীন আমানত বা অ্যাকাউন্ট অনুসন্ধান করতে সহায়তা করে। আরবিআইয়ের বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যাঙ্কগুলিতে দাবিহীন আমানত বার্ষিক ভিত্তিতে ২৬% বেড়ে ৭৮,২১৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
ভারতের অর্থনীতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়নের প্রভাব সম্পর্কে সুনির্দܫিষ্ট এক প্রশ্নের জবাবে নির্মলা সীতারামন বলেন, এটি ভারতীয় পোশাক খাতের বিনিয়ো🙈গকারীদের জন্য কিছুটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে এবং আশা করি দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার 'দেরি না করেই' স্বাভাবিক অবস্থা নিয়ে আসবে।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা অর্জন করায় দেশ থেকে বড় বড় বাজারে রফতানি ব্যবসায়ীদের প্রায় ৯-১০%𝕴 শুল্🍨ক সুবিধা পেতে সহায়তা করে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বস্ত্র শিল্প, বিশেষ করে তামিলনাড়ু থেকে এখানে বিনিয়োগ করা হয়।
বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি আমাদের অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে তা বলার সময় এখনো আসেনি। আমি আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুতই বিষয়টির নিষ্পত্তি করবে, যাতে বাংলাদেশ ও ভ🌠ারতের জনগণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।