এবার কোভিডের থাবায় অনাথ হয়েছে বহু শিশু। তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পিএম কেয়ার্স ফান্ডের মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে কতটা কাজ হল? এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত শিশুর কাছে যেন এই সহায়তা পৌঁছায় সেজন্য বিশেষ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পরিসংখ্যান বলছে গত ২৯শে মে থেকে এখনও পর্যন্ত চার হাজারের বেশি আবেদনকারীর মধ্যে সহায়তা পেয়েছে মাত্র ১ হাজার ৭১৯জন। কিন্তু এই পরিসংখ্যান দেখে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত পিএম কেয়ার্সের মাধ্যমে কোভিডে একজন অথবা দুজন অভিভাবক হারানো শিশুদের স্বাস্থ্য বিমা ও শিক্ষাগত সহায়তা সহ অন্যান্য সহায়তার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। জাস্টিস এল নাগেশ্বরা রাও এবং বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, শিশুদের কাছে সহায়তা যাচ্ছে এটাই আমরা দেখতে চেয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা এনিয়ে অন্ধকারে। এরপরই কেন্দ্রকে দু সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। অনাথ শিশুদের সহায়তার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে । পাশাপাশি ওই শিশুদের পড়াশোনা কতদূর হয়েছে সেটাও জানাতে হবে তাদের। একটি স্বতপ্রণোদিত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি পথশিশুদের সম্পর্কে তথ্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে দেওয়া জন্য কেন্দ্রের কাছে দু সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। এদিকে অ্যাডভোকেট গৌরব আগরওয়াল জানিয়েছেন পিএম কেয়ার্স চালু হওয়ার পর ৫ মাস হয়ে গেল। কোন শিশুরা উপকৃত হয়েছে তাদের সম্পর্কে কোনও তথ্যই নেই। অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য্য ভাটি জানিয়েছেন, স্কিমের কাজ চলছে। রবিবার পর্যন্ত চার হাজারের বেশি আবেদনকারীর মধ্যে ১ হাজার ৭১৯জনকে সহায়তার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকরা অনুমোদন করেছেন।