পেনি স্টক। শুনলেই প্রথম যে বিষয়টি মাথায় আসে, তা হল 'ঝুঁকি'। পেনি স্টকে বিনিয়োগ করা যে বেশ ঝুঁকির বিষয়, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু জীবনে যেখানে ঝুঁকি বেশি, সেখানে মুনাফাও বেশি। অর্থাত্, পেনি স্টকဣে লোকসানের সম্ভাবনাও যতটা বেশি, লাভ করার সুযোগও তেমন বেশি। তবে পেনি স্টকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি পড়াশোনা, অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তারপরেও এই জাতীয় বিনিয়োগের সময়ে সাবধানী হওয়া উচিত্।
পেনি স্টকে মুনাফা যে কতটা বেশি হতে পারে, তার জন্য কাইজার কর্পোরেশনের শেয়ারকে একটি কেস স্টাডি হিসাবে দেখা যেতে পারে। ভারতের শেয়ার বাজারে বর্তমানে অন্যতম বড় মাল্টিব্যাগার স্টক এটি। BSE-তে তালিকাভুক্ত এই স্মল ক্যাপ স্টকটির মোট মার্কেট ক্যাপ ২৭৫ কোটি টাকা। আরও পড়ুন: ১ লাখ কমে ঠেকল ৬৬৭ টা♚কায়! রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের শেয়ারে বরবাদ বিনিয়োগকারীরা
২০২১ সালের নভেম্বরের শেষে এই 𒊎শেয়ারের দাম ছিল মাত্র ১ টাকার স্তরে। আর সেই সময় থেকে এইটুকুর মধ্যেই শেয়ারের দাম ৫২.২৫ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। ফলে অভাবনীয়ভাবে, ৫১০০% রিটার্ন দিয়েছে কাইজার কর্পোরেশন🔥ের শেয়ার।
কাইজার কর্পোরেশনের শেয়ারের দামের ইতিহাস
গত ৬ মাসে এই মাল্টিব্যাগার শেয়ার সেল অফের প্রবণতার মধ্যে রয়েছে। সেই কারণে ৩.৫০% শে𓆉য়ার দর হ্রাস পেয়েছে গত ১ সপ্তাহে। গত ১ মাসে প্রায় ৯% কমেছে এই স্টক। গত ৬ মাসে তুমুল সেল অফের কারণে এই শেয়ারের দাম ৯৮ টাকা থেকে কমে ৫২.২৫ টাকায় নেমে এসেছে। ফলে ৬ মাসে প্রায় ৪৫% কমেছে এই শেয়ারের দাম।
তবে ২০২২ সালের শুরুতে কিন্তু দ্রুত হারেই বেড়েছে এই শেয়ার। মাঝের এই সেল অফের হিড়িক বাদ দিলেও ১ টাকা থেকে ৫২ টাকা পর্যন্ত এই যে শেয়ার দরের ওবৃদ্ধি মোটেও কম নয়। তাই সেই সময় থেকে যদি কেউ বℱিনিয়োগ করে রাখেন, এবং এখনও তা বিক্রি না করে থাকেন, সেক্ষেত্রেও তিনি লাভবান হবেন।
বিনিয়োগের উপর প্রভাব
কাইজার কর্পোরেশনের শেয়ার দরের ইতিহাস অনুযায়ী, ২০২১ সালের নভেম্বরে যদি কেউ এই শেয়ারে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, তবে সেই শেয়ারের দাম এখন বেড়ে ৫২ লক্ষ টাকা হয়ে গিয়েছে। আরও পড়ুন: 💛৩ বছরে ৪৫০% উত্থান এই সংস্থার শেয়ারে! আপনার বিনিয়োগ আছে কি?
তবে সেল অফের সময়ে যদি কেউ এই শেয়ার কিনে থাকেন, সেক্ষেত্রে তাঁ🉐র লোকসান হয়েছে।