এবার অসমের কংগ্রেসের প্রধান ভূপেন বোরাহর মন্তব্য༒ে তোলপাড় উত্তর পূর্বের এই রাজ্যের রাজনীতিতে। সেখানে ভূপেন বোরাহ এক মন্তব্যে দাবি করেছেন ‘মহাভারত’ এ উঠে আসা কিছু বিবাহ ‘লাভ জেহাদ’এর সমতুল্য। ভূপেন বဣোরহার মন্তব্যে শ্রীকৃষ্ণ-রুক্মিনী ও ধৃতরাষ্ট্র-গান্ধারীর প্রসঙ্গ উঠে আসে।
এদিকে ভূপেন বোরহার মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, অসম কংগ্রেসের প্রধানের মন্তব্যের জেরে ভূপেন বোরহার বিরুদ্ধে কেউ যদি অভিযোগ করেন, তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাঁর মন্তব্যে বলেন ভূপেন বোরহাকে ‘অর্ধেক জ্ঞান’ মন্তব্য করে কটাক্ষ করেন। অসম কংগ্রেস প্রধান ভূপেন বোরহা বলেছেন, ‘ ইতিহাস থেকে ক্রস ম্যারেজ চলে আসছে। এমনকি মহাভারতের সময় থেকেও ♈রাজাদের মধ্যে তা হচ্ছে। মহাভারতের মূল কাহিনী হল গান্ধারীর পরিবার চায়নি যে সে ধৃতরাষ্ট্রকে বিয়ে করুক। ভীষ্ম পিতামহ জোরপূর্বক তাঁদের মধ্যে বিবাহ বন্ধন ঘটান। শকুনির ভাইকে বন্দি করা হয় এবং পরജে মামা প্রতিশোধ নেন। সেটাও লাভ জিহাদ। গান্ধারীর পরিবার আপত্তি জানায় এবং সে তার চোখে কাপড় পরেছিল। কৃষ্ণ যখন রুক্মিণীকে নিতে এলেন, অর্জুন এলেন ভিন্ন রূপে। ’
এদিকে, ভূপেন বোরহার এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা তোপ দাগেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ভুৃূপেন বোরহা 𒈔বলেন, ‘ কে কি বলেছে জানি না কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও রুক্মিণীর প্রসঙ্গ টেনে আনা খুবই নিন্দনীয়। এটা সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে। এটা হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে। আমি কংগ্রেসকে অনুরোধ করব, আমরা যেভাবে হজরত মহম্মদ বা যfশু খ্রিস্টকে কোনও ধর্মীয় বিতর্কে টেনে আনতে চাই না, একইভাবে তাঁরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে কোনও বিতর্কে টেনে আনার চেষ্টা যেন না করেন।’ হিমন্ত সাফ ভাষায় জানান, ‘ কেউ মামলা করলেই ওঁকে গ্রেফতার করতে হবে। সনাতন ধর্মের হাজার হাজার মানুষ অভিযোগ করলেও আমি তাকে বাঁচাতে পারব না’। লাভ জেহাদ প্রসঙ্গে হিমন্ত মুখ খুলে বলেন, ‘ কিছু মানব অপরাধের সাথে দেবতাদের তুলনা করা গ্রহণযোগ্য নয়। দ্বিতীয়ত, লাভ জিহাদ কী? যখন একটি মেয়েকে মিথ্যা পরিচয়ের ভিত্তিতে বিয়ে করা হয় এবং বিয়ের পর তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয়…ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কখনই রুক্মিণীকে তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করতে বলেননি। ’