বিহারে হাড়হিম ঘটনা। এক দম্পতি তাঁদের দুই মেয়েকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। মেয়ে দুটির বয়স ১৮ ও ১৬ বছর। এমনকী ঘুমন্ত অবস্থায় যে তাদের খুন করা হয়েছে সেটা কার্যত মেনে নিয়েছেন তাদের মা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখেছিল, দুটি দেহের কাছে মা রিঙ্কু দেবী বসে রয়েছেন।এদিকে ঘটনার পরেই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন মেয়ে দুটির বাবা নরেশ বৈঠা। এদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই মৃতের মাকে জেরা করেছে। মা পুলিশকে জানিয়েছে, দুটি মেয়েই ভিন জাতের ছেলেদের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এনিয়ে বার বার বারণ করা সত্ত্বেও তারা শুনত না। এমনকী বাবা মাকে না বলেই তারা মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে যেতেন। সেকারণেই তারা দুটি মেয়েকেই খুন করে ফেলেছেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বাবা ও মা দুজনেই এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।এদিকে মা প্রথমে বলছিলেন তাদের বাবা মেয়ে দুটোকে খুন করে পালিয়েছে। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এর পেছনে মায়েরও হাত রয়েছে। ডেপুটি সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ ( সদর) ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, তদন্ত নেমে জানা গিয়েছে এর পেছনে বাবা মা উভয়েরই হাত রয়েছে। সম্ভবত যে সঙ্গীদের সঙ্গে ওই মেয়েরা মিশত তাদের নিয়ে আপত্তি ছিল তাদের বাবা মায়ের। আর তার জেরেই তাদের খুন করা হয়েছে।তবে বিহারে এর আগেও অনার কিলিংয়ের ঘটনা হয়েছে। জামাই ষষ্ঠীর আগের দিন নিজের শ্বশুরের হাতে খুন হতে হয়েছিল এক যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছিল বিহারের বক্সারে। জানা গিয়েছে ভালোবেসে ভিনজাতের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন মনু রাই। স্থানীয় মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলরের ভাই সোনু রাইয়ের ভাই মনু। তাঁকেই খুন করেছিলেন শ্বশুর সুনীল পাঠক। সুনীল নিজে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী।জানা গিয়েছিল, ছেলে ধনু পাঠককে নিয়ে সুনীল খুন করে মনুকে। সেই সময় মনু একটি সেলুনে দাড়ি কামাতে গিয়েছিল। তখন তাঁকে খুন করা হয়। ঘটনাটি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছিল। পরে দোষী সুনীল নিজে স্থানীয় এসপিকে ফোন করে ঘটনার কথা জানিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় কীভাবে মনুকে খুন করেছে সুনীল। পুলিশ জানিয়েছে ‘ভালোবেসে বিয়ে’ করার কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, একটি যুবক চেয়ারে বসে। নাপিত তাঁর দাড়ি কামাচ্ছে। সেই সময় ঘরে একজন ঢুকে গুলি করল চেয়ারে বসা সেই যুবককে। কিন্তু প্রথম গুলিটি যুবকের গায়ে লাগেনি। ততক্ষণে যুবকটি একটি ক্ষুর হাতে তুলে নেন। অপরদিকে নাপিত সেখান থেকে পালায়। সেই সময় ঘরে আরও একজন ব্যক্তি ঢোকে বন্দুক হাতে। এরপর ঘরের কোণায় নিয়ে গিয়ে ফের সেই যুবককে গুলি করে বন্দুকধারীরা। সঙ্গে শারীরিক ভাবেও আঘাত করা হয় সেই যুবককে।ফের সেই ধরণের Honour killing এর ঘটনা বিহারে। এবার দুই মেয়েকেই খুন করলেন বাবা মা। অভিযোগ এমনটাই।