অনুদানের নিরিখে টানা সপ্তমবার দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দল হল বিজেপি। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে গেরুয়া শিবির ৭৫০ কোটি টাকার অনুদান পেয়েছে কর্পোরেট এবং ব্যক্তিজের থেকে। নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়া রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের পাওয়া অনুদানের তুলনায় এই পরিমাণ পাঁচ গুণ বেশি। কংগ্রেস এই অর্থবর্ষে অনুদান হিসেবে পেয়েছে মাত্র ১৩৯ কোটি টাকা।২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এনসিপি অনুদান হিসেবে পেয়েছে ৫৯ কোটি টাকা। এই সময়কালে তৃণমূল কংগ্রেস ৮ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে। সিপিএম পেয়েছে ১৯.৬ কোটি টাকা। ১.৯ কোটি টাকা অনুদান রেয়েছে সিপিআই। কোনও ব্যক্তি ২০ হাজার টাকার বেশি অনুদান করলে, বা কোনও সংস্থা, ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট অনুদান করলে তা নথিভুক্ত হয়। এবং তা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বাধ্য রাজনৈতিক দলগুলি।এদিকে বিজেপিকে অনুদান দেওয়া সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম হল প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট। গতবছরের তুলনায় এবছর তাদের অনুদানের পরিমাণ ৩ গুণ বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বিজেপিকে ২১৭.৭৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট। গতবছর এই পরিমাণ ছিল ৬২.২৫ কোটি টাকা। এদিকে কংগ্রেসকে এই সংস্থা এবছর ৩১ কোটি টাকা দিয়েছে। গত অর্থবর্ষে সেই পরিমাণ ছিল ৩৯ কোটি। এছাড়া এই সংস্থা আম আদমি পার্টিকে এই সংস্থা ১১.২৬ কোটি টাকা দিয়ে অনুদান রূপে। শিবসেনা পেয়েছে ৫ কোটি। সমাদবাদী পার্টির পকেটে ঢুকেছে ২ কোটি।এদিকে প্রুডেন্ট ছাড়া জনকল্যাণ ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট থেকে বিজেপি পেয়েছে ৪৫.৯৫ কোটি টাকা। জুপিটার ক্যাপিটাল থেকে বিজেপি পেয়েছে ১৫ কোটি টাকা। আইটিসি-র থেকে বিজেপি পেয়েছে ৭৬ কোটি টাকা। লোধা ডেভেলপারের থেকে বিজেপি পেয়েছে ২১ কোটি টাকা। গুলমার্গ রিলেটরস থেকে বিজেপি পেয়েছে ২০ কোটি টাকা। বিজি শিরকে নির্মাণ সংস্থার থেকে বিজেপি পেয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। এছাড়া প্রায় ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বিজেপিকে অনুদান দিয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে। তাছাড়া দলের বিভিন্ন সাংসদ এবং বিধায়করাও পার্টি ফান্ডে টাকা দিয়েছেন।