বাবা-মা বেঁচে থাকা সত্ত্বেও যদি কোনও শিশু অনাথাশ্রমে বড় হয়ে ওঠে তাহলে জুভেনাইল জাস্টিস কেয়ার অ্যাক্ট, ২০১৫-এর ২(৪২) নং ধারা অনুয♏ায়ী সেই শিশুকে অনাথ বলা যাবে না। এমনই পর্যবেক্ষণ করল বম্বে🐼 হাই কোর্ট। এদিকে এই মামলার প্রেক্ষিতে শিশু সুরক্ষা কমিটিকে আদালত পর্যালোচনা করে দেখতে বলে যে জুভেনাইল জাস্টিস কেয়ার অ্যাক্ট, ২০১৫-এর ২(১) ধারার অধীনে এই ধরনের শিশুদের (বাবা-মা বেঁচে থাকলেও যারা অনাথাশ্রমে বড় হয়ে উঠছে) ‘পরিত্যক্ত’ বলে অভিহিত করা যাবে কি না।
উল্লেখ্য, 'দ্য নেস্ট ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন' আদালতে একটি মামলার আবেদন করে দাবি করেছিলেন যে তাদের কেয়ার হোমে থাকা দুই নাবালিকাকে যাতে অনাথ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই শুনানি চলাকালীন জুভেনাইল জাস্টিস কেয়ার অ্যাক্টের ধারার উল্লেখ করে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করে উচ্চ আদালতের বিচারপতি সাভ গঙ্গাপুরওয়ালা ও বিচারপতি রান লাড্ডার ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে 'দ্য নেস্ট ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন' চেয়েছিল যাতে তাদের দ🎃ুই আবাসিককে ‘অনাথ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং অন্তর্বর্তী অনাথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। এর ফলে সেই দুই তরুণী স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের জন্য স্নাতক কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণের আওতায় পড়বে।
'দ্য নেস্ট ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনে'র দাবি, দুই মেয়ের জন্মদাতা বাবা-মা বেঁচে থাকলেও ৫ বছর বয়স থেকে তারা কেয়ার হোমেই আছেন। এই আবহে দুই তরুণীকে অন্তত ‘পরিত্যক্ত’ ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়। এবং তাদের যেন সংরক্ষণের আওতায় রাখা হয়। এদিকে সরকার পক্ষ ফাউন্ডেশনের এই আবেꦕদনের বিরোধিতা করে। সরকার পক্ষের দাবি, কেয়ার হোমটিকে একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হয়েছে যাতে তারা অনাথাশ্রম না চালায়। এই আবহে সেই হোমে থাকা দুই তরুণীকে ‘অনাথ’ বা ‘পরিত্যক্ত’ আখ্যা দেওয়া যাবে না।