রেজাউল এইচ লস্কর এবং রাজীব জয়সওয়াল
দুই দিনের ভারত সফরে আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এই সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে উত্থাপিত অনেকগুলি ইস্যুর মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধও থাকতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ইস্যুতে ভারতের কী করা উচিত, বা কী করা উচিত না, তা নিয়ে লেকচার দেবেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বরং ভারতের অবস্থানের কথা শুনবেন বরিস জনসন। এই সফরের মূল ফোকাস থাকবে ভারত-ব্রিটেন দ্✱বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃড় করা।
প্রায় দুই মাস আগে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। এই আবহে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বহু দেশ। আবার ভরাতের মতো বহু দেশ রাশিয়ার সাথে নিজেদের সম্পর্কে চিড় ꧅ধরতে দেয়নি এই যুদ্ধের আবহেও। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা বারংবার ‘চাপ’ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে ভারতের উপর। তবে ভারত নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেছে। যুদ্ধের সমালোচনা করলেও সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যায়নি ভারত। এই পরিস্থিতিতে এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আসছেন দুই দিনের ভারত সফরে। স্বভাবতই মদীর সঙ্গে তাঁর আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু হবে ইউক্রেন যুদ্ধ। তবে ব্রিটিশ সরকার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ভারতের অবস্থানের বিষয়ে শুনবেন জনসন। তবে ভারতকে কোনও কিছু নিয়ে লেকচার দেবেন না তিনি। অবশ্য ইউক্রেন নিয়ে ব্রিটেনের অবস্থানের বিষয়টি প্🌟রধানমন্ত্রী মোদীর সামনে তুলে ধরবেন বরিস জনসন।
আরও পড়ুন : সুপꦛ্রি🌌ম নির্দেশিকার পরও চলে উচ্ছেদ, অভিযান থামাতে জাহাঙ্গীরপুরীতে বৃন্দা কারাত
বরিস জনসন গুজরাত দিয়ে তাঁর সফর শুরু করবেনဣ। সেখানে তিনি গুজরাত বায়োটেকনোলজি ইউনিভার্সিটি এবং একটি কারখানা পরিদর্শন করবেন এবং শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপচারিতা করবেন। তারপরে তিনি নয়াদিল্লিতে যাবেন। সেখানেꦓ তিনি শুক্রবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তাঁর এই গোটা সফর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে। এই বিষয়টি গতকাল ব্রিটিশ সংসদেও বলেন বরিস জনসন। এই আবহে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতকে কোনও ‘উপদেশ’ দেওয়ার বদলে ভারতের বক্তব্য শুনে তা বুঝতে চায় ব্রিটেন। এর আগে গতমাসে ব্রিটিশ বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস যখন ভারতে এসেছিলেন, তখন তিনিও বলেছিলেন যে ভারতকে কোনও বিষয় নিয়ে লেকচার দিতে চায় না ব্রিটেন। সেই অবস্থান এখনও বজায় রাখতে চলেছেন বরিস জনসন।