গত তিন বছর ধরে বন্ধ পড়ে থাকা ব্রিটিশ আমলের সামরিক পশুখামারের বাসিন্দাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেটে বরাদ্দ হল ২৬৩.৫২ কোটি টাকা।জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে এই সমস্ত খামার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু সেখানে রাখা গবাদি পশু বিক্রি করতে গিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। অনেক চেষ্টাতেও মেলে না তাদের জন্য ক্রেতা। বাধ্য হয়ে তাই সেই গরু, মোষ, ছাগলদের পুষতে হচ্ছে সেনাকে।শনিবার সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের কথা ঘোষণা করার পরে চোখ কপালে উঠেছিল বিশেষজ্ঞদের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ হিসেবে ধরা হয়েছে মাত্র ৩.৩৭ লাখ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় মোটে ৬% বেশি। কিন্তু বিস্ময়ের তখনও কিছু বাকি ছিল।গবাদি পশু রক্ষণাবেক্ষণ করতে হলে প্রয়োজন অঢেল ঘাসজমি এবং চাই বিপুল সংখ্যক কর্মীও। এই সমস্ত খরচ সামলাতে প্রচুর অর্থের জোগানও দরকার। গত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ হয়েছিল ২৯৩.৪২ কোটি টাকা। এ বছর তা কিছু কমালেও মোট ২০৫.৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।বর্তমানে দেশের ৩৯টি সামরিক খামারে কর্মরত এক হাজারের বেশি কর্মী। মোট ২০,০০০ জমিজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে খামারগুলি। তবে ৩ বছর আগে খামার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে স্থায়ী কর্মী ছাঁটাই করে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ করেছে সেনাবাহিনী।হিসেব বলছে, বছর তিনেক আগে সব ক’টি খামার মিলিয়ে গরুর সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। ১০,০০০ ফ্রিসওয়াল প্রজাতির গরু বেচে দেওয়ার পরে বর্তমানে সেনাখামারে গোরুর সংখ্যা কমে ১৫ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে।জেনে রাখা প্রয়োজন, নিয়মিত দেদার দুধ জোগানে সক্ষম ফ্রিসওয়াল গরু প্রতিটির দাম পড়ে প্রায় এক লাখ টাকা। ঠেকায় পড়ে এই দামী গরুই বিভিন্ন রাজ্য সরকারি ও অন্যান্য দফতরের কাছে তাদের মাত্র মাথাপিছু ১,০০০ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।