মঙ্গলবার বার্ষিক বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে গম ও ধান চাষিদের MSP-র জন্য ২.৩৭ লক্ষ কোটি টাকার ঘোষণা করেন তিনি।কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২: সীতারামন আজ কৃষকদের জন্য যা যা ঘোষণা করেছেন :১. ভারতীয় রেলওয়ে ক্ষুদ্র কৃষক এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য নতুন পণ্য এবং দ্রুত লজিস্টিক পরিষেবার বিকাশ করবে৷২. অর্থমন্ত্রী জানান, কেন্দ্র এমএসপি-র অধীনে গম এবং ধান সংগ্রহের জন্য ২.৩৭ লক্ষ কোটি টাকা দেবে। তাঁদের অ্যাকাউন্টে MSP মূল্যের টাকা সরাসরি প্রদান করা হবে।৩. অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকার ফসলের মূল্যায়ন, জমির রেকর্ডের ডিজিটালাইজেশন, কীটনাশক স্প্রে এবং পুষ্টির জন্য 'কিসান ড্রোন' ব্যবহারের প্রসার করবে। ৪. কেন্দ্র রাসায়নিক মুক্ত প্রাকৃতিক চাষ, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রচার করবে। সারা দেশে কৃষকদের ডিজিটাল এবং আধুনিক প্রযুক্তির পরিষেবা প্রদান করা হবে। কৃষকদের ফল ও শাকসবজির উপযুক্ত জাত গ্রহণ করতে উত্সাহিত করা হবে। উপযুক্ত উত্পাদন এবং ফসল কাটার কৌশলগুলি ব্যবহার করার জন্য রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কেন্দ্র একটি বিস্তৃত প্যাকেজ সরবরাহ করবে।৫. তৈলবীজ আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে দেশে তৈলবীজের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য একটি যৌক্তিক ও ব্যাপক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হবে।৬. বায়োমাস পেলেটের ৫-৭% তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কো-ফায়ার করা হবে। এর ফলে বার্ষিক ৩৮ এমএমটি CO2 কম নির্গত হবে৷ তিনি বলেন, এটি কৃষকদের অতিরিক্ত আয় এবং স্থানীয়দের কাজের সুযোগ দেবে। এবং কৃষিক্ষেত্রে খড় পোড়ানোও এড়াতে সহায়তা করবে। প্রথম পর্যায়ে গঙ্গা নদীর ধারে ৫ কিমি প্রশস্ত করিডোরে কৃষকদের জমির উপর লক্ষ্য রেখে রাসায়নিক মুক্ত, এবং প্রাকৃতিক চাষের প্রচার করা হবে।৭. ২০২৩-কে আন্তর্জাতিক মিলেট বছর হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র ফসল-পরবর্তী মূল্য সংযোজনে সহায়তা করবে। দেশে বাজরার ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাজরা পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা হবে।৮. প্রাকৃতিক শূন্য বাজেট এবং জৈব চাষ, আধুনিক কৃষি, মূল্য সংযোজন এবং ব্যবস্থাপনার চাহিদা মেটাতে রাজ্যগুলিকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম সংশোধন করতে উৎসাহিত করা হবে। ৯. সরকার কৃষি বনায়ন এবং ব্যক্তিগত বনায়নের জন্য নীতিমালা এবং প্রয়োজনীয় আইনি পরিবর্তন আনবে। এছাড়াও, এক্ষেত্রে তফসিলি জাতি ও উপজাতির কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।