বাজেটে আয়কর স্ল্যাবে কি পরিবর্তন হবে? স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন কি এক লাখ হবে? 80C-তে কি আরও ছাড় থাকবে? জেনে নিন, এমন অসংখ্য প্রশ্ন চাকরিজীবীদের মনে। একইভাবে কৃষকদের মনেও বাজেট সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন রয়েছে। কিষাণ সম্মান নিধির পরিমাণ বাড়বে? বাজেটে সার, বীজ, ফসল বিমা বা আয় বাড়ানোর জন্য কোনো নতুন পরিকল্পনা থাকবে? কিন্তু, এই প্রশ্ন এবং জনগণের প্রত্যাশার মধ্যে, সরকারের অন্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে।বাজেটে আয়কর স্ল্যাবে পরিবর্তন হবে? 80C-তে কি আরও ছাড় থাকবে? মন অসংখ্য প্রশ্ন চাকরিজীবীদের মনে। কৃষকদের মনেও বাজেট সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন রয়েছে। তাঁদের চিন্তা, কিষাণ সম্মান নিধির পরিমাণ বাড়বে? বাজেটে সার, বীজ, ফসল বিমা বা আয় বাড়ানোর জন্য কোনও নতুন পরিকল্পনা থাকবে?হাজারো প্রশ্ন এবং জনগণের প্রত্যাশা। কিন্তু তারই মাঝে সরকারের অন্য চ্যালেঞ্জও রয়েছে।১ ফেব্রুয়ারি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে অর্থমন্ত্রীকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্লেষকদের মতে, এবারের বাজেটে ৭টি বড় চ্যালেঞ্জের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।১. মুল্যস্ফীতিদেশে মূল্যস্ফীতি উদ্বেগের বিষয়। দেশে খুচরা মূল্যস্ফীতি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ৫ মাসের সর্বোচ্চ ৫.৫৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে খুচরা মূল্যস্ফীতির হারও ছিল ১৩.৫৬ শতাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে অর্থমন্ত্রীর ওপর বেশ চাপ থাকবে।২. কর্মসংস্থানকরোনা মহামারীতে চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ। দেশে একটি বড় সমস্যা বেকারত্ব। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে কর্মসংস্থান দিতে হবে। দেশে বেকারত্বের হার ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ৭.৯১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় বাজেটে কর্মসংস্থান বাড়ানোর ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হতে পারে।৩. বেসরকারিকরণকরোনার কারণে সরকারের উপর আর্থিক চাপ রয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত বাজেটে বেসরকারিকরণের মাধ্যমে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১২,০২৯ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। ডিসইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে আরও বেশি টাকা জোগাড় করতে হবে। সরকার এবার এই বিষয়ে আরও বড় ঘোষণা করতে পারে। ৪. টাকাডলারের প্রেক্ষিতে রুপি দুর্বল রয়ে গিয়েছে। এর ফলে আমদানি ব্যয় বেশি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর প্রভাব পড়ে। সরকার প্রতিনিয়ত রুপিকে শক্তিশালী করার কথা বলছে বটে। কিন্তু তাতে খুব একটা সাফল্য আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে রুপিকে শক্তিশালী করতে, এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।৫. রপ্তানিসরকার দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানি বাড়াতে নানা পরিকল্পনা চালাচ্ছে। বিভিন্ন সেক্টরের জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI)-এর মতো স্কিম রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত রপ্তানি বৃদ্ধিতে প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জিত হয়নি। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৪৩.৮২ বিলিয়ন ডলারের আমদানি হয়েছে। রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৩০১.৩৮ বিলিয়ন ডলারের। এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বড়সড় ঘোষণা হতে পারে।৬. অপরিশোধিত তেলইউক্রেন-রাশিয়া উত্তেজনা, চাহিদা-সরবরাহের ব্যবধান এবং সরবরাহে ব্যাঘাত। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম আগুন। ব্যারেল প্রতি ৯০ ডলারের কাছাকাছি। ৫ রাজ্যে চলমান নির্বাচনের কারণে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়াচ্ছে না রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো। ভবিষ্যতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়লে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতির ওপর। এমন পরিস্থিতিতে দামি অপরিশোধিত তেলের চ্যালেঞ্জও থাকবে অর্থমন্ত্রীর সামনে। ৭. বিদেশি বিনিয়োগসরকার বিভিন্ন খাতে উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। এ জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন। চাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাও। আর তার অন্যতম সমাধান বিদেশি বিনিয়োগ আনা। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক বিভিন্ন দেশে প্রচার চালাচ্ছে। আরও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে, অর্থমন্ত্রীকে কর অব্যাহতিসহ অন্যান্য সুবিধাও ঘোষণা করতে হতে পারে।