বাজেট মানেই বড় বড় নম্বর। বিভিন্ন খাতের ব༺িভিন্ন প্রকল্পে কয়েক 🅠লাখ কোটি টাকার বরাদ্দ। এর মধ্যে কোন খাতে কত বরাদ্দ হল, তা নিয়ে মানুষের মনে একটা আগ্রহ থাকেই। এই তথ্য থেকে এও বোঝা যায়, সরকার কোন দিকে বেশি মনোনিবেশ করছে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পেশ হওয়া অন্তর্বর্তী বাজেট প্রস্তাবে কোন খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ করা হল? রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের মোট মূলধনী ব্যয় ১১ শতাংশ বাড়িয়ে ১১.১১ লাখ কোটি টাকা করা হয়েছে। যা আমাদের জিডিপির ৩.৪ শতাংশ। এদিকে নির্মলা জানান, গত চার বছরে ভারতের মূলধনী ব্যয় প্রায় চারগুণ বেড়েছে। আর এবারের অন্তর্বর্তী বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে প্রতিরক্ষ খাতে। এবং সবচেয়ে কম ব্যয় করা হবে কৃষি খাতে।
বাজেট নথি অনুযায়ী, এবারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ ৬.১ লাখ কোটি টাকা। এদিকে সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ ২.৭৮ লাখ কোটি টাকা। রেলের জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে ২.৫৫ কোটি টাকা। এদিকে উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের জন্য এবারের বাজেটে বরাদ্দ ২.১৩ লাখ কোটি টাকা🍨। এছাড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ ২.০৩ লাখ কোটি টাকা। এদিকে গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ ১.৭৭ লাখ কোটি টাকা। এদিকে রাসায়নিক এবং সার মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ ১.৬৮ লাখ কোটি টাকা। এদিকে যোগাযোগ মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১.৩৭ লাখ কোটি টাকা। কৃষি মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ সবচেয়ে কম - মাত্র ১.২৭ লাখ কোটি টাকা।
এদিকে বাজেটে পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দের ♔অঙ্কটা বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি ক﷽রেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পাশাপাশি তিনি জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পরিকাঠামো খাতে মোট বিনিয়োগের অঙ্কটা ১১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে। যা ২০১৪ সালের আগর থেকে অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই-এর অঙ্কটা ছিল ৫৯৬ কোটি মার্কিন ডলার। যা ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। আরও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বিদেশি সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, মোদী সরকারের কাছে এফডিআই-এর অর্থ হল 'ফার্স্ট ডেভেলপ ইন্ডিয়া'। এদিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতের লক্ষ্য হল 'জিডিপি'। এই জিডিপি হল - গর্ভনেন্স, ডেভেলপমেন্ট এবং পারফরম্যান্স। অর্থাৎ ভালোভাবে প্রশাসন চালানো। দেশের উন্নতি। আর ভালো ভাবে কাজ করা।'