'ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল' বুধবার ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। উল্লেখ্য, সামনেই রয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে ছাড়পত্র পাওয়া এই বিল বেশ কয়েকটি দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। সংসদে বিলটি পাশ হলে তা আইনে রূপান্তরিত হবে। কী রয়েছে এই বিলে? কী বলতে চাওয়া হয়েছে?
জানা যাচ্ছে, এই বিলটি যদি আইনে রূপান্তর হয়, তাহলে দেশের সমস্ত অফলাইন ও অনলাইন ডেটা আইনের আওতাধীন হবে। তবে ব্যক্তিগত ডেটা আইনি ডোমেইনের অন্তর্ভূক্ত তখনই করা যাবে, যখন তাতে সম্মতি থাকবে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের। তবে এর কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। আর সেই ব্যতিক্রমই একটি বড় দিক। বলা হচ্ছে, কোনও তথ্য সরকারের প্রয়োজন হলে, জাতীয় নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলার স্বার্থে এই বিধির ব্যক্তিক্রম ঘটতে পারে। এছাড়াও বলা হয়েছে, আইনের নীতি মানা হচ্ছে কি না, তা নজরদারিতে থাকবে একটি বোর্ড। সেটিকে ডেটা সুরক্ষা বোর্ড হিসাবে পরিগণিত করা হবে। নীতি অনুযায়ী কোনও ডেটা সংগ্রহের পর তা বৈধ উপায় মেনে ডিলিট করা হচ্ছে কি না তাও পরিলক্ষিত করা হবে। তবে এই বিল নিয়ে নানান প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। অনেকেরই আশঙ্কা, এতে ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর সর🌄কারের অধিকার চলে আসবে। এছাড়াও প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিধি লঙ্ঘনে ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে জরিমানা।
(আরও পড়ুন- Man addicted to porn: পর্নের নেশায় বুঁদ স্বামী! স্ত্রীকে পর্নস্টারদের মতো প♓োশাক পরতে বাধ্য করতেন, দায়ের অভিযোগ)
এর আগে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ২০১৯ সালে ডেটা প্রোটেকশন বিল কেন্দ্রের তরফে পেশ করা হয় সংসদে। সেবার সংসদের যুগ্ম কমিটির কাছে যায় বিলটি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই বলছে, ২০২৩ সালে যে বিল মন্ত্রিসভা পাস করেছে, তাতে পুরনো বিলের প্রায় সমস্ত বিষয়গুলিই রাখা হয়েছে। ফলে নয়া বিলে সেভাবে বড় বদল কিছু আসেনি। উল্লেখ্য, তথ্য নিরাপত্তা ঘিরে না൩গরিকদের ‘ক্ষতিপূরণ’ দাবি করারও এক্তিয়ার রয়েছে।পিটিআই বলছে, বিলে ‘এমন বহু তথ্য রয়েছে যা ধীরে ধীরে সামনে আসবে’। কোনও সমস্যা বা বিভ্রাটের ক্ষেত্রে 'ডেটা প্র꧃োটেকশন বোর্ড' পদক্ষেপ করবে।