জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) বিলগ্নিকরণের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল কেন্দ্র। ভারতের সবথেকে বড় বিমা সংস্থার প্রথমবার শেয়ার ছাড়ার (আইপিও) প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি (সিসিইএ)। এবার কত পরিমাণ শেয়ার ছাড়া হবে, দাম কত হবে, কোন সময় ছাড়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মল🔥া সীতারামনের নেতৃত্বাধীন একটি প্যানেল।
শেয়ার ছাড൲়ার আগে এলআইসির বাজারমূল্য, মুনাফা সংক্রান্ত বিষ𝓀য় খতিয়ে দেখার জন্য চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থা নিয়োগ করেছিল কেন্দ্র। যা ভারতের কর্পোরেট জগতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হতে চলেছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত। খুব শীঘ্রই জীবন বিমা নিগমের বাজারমূল্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে ওই সংস্থা। সেইসঙ্গে বাজেটের সময় এলআইসি আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছিল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সোমবার সংবাদসংস🉐্থা পিটিআইকে এক শীর্ষ আধিকারিক বলেছেন, ‘গত সপ্তাহে অর্থনৈতিক বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে এলআইসির শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কত পরিমাণ শেয়ারের বিলগ্নিকরণ করা হবে, তা এবার ঠিক করা হবে।’ সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, চলতি অর্ꦜথবর্ষের মধ্যেই এলআইসির আইপিও বাজারে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমনিতে চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে বাজার থেকে ১.৭৫ লাখ কোটি টাকার তোলার পরিকল্পনা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ইতিমধ্যে কিছুটা টাকা হাতে এসেছেও। কিন্তু ১.৭৫ লাখ কোটি টাকা ল♚ক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য এলআইসির বিলগ্নিকরণ পরিকল্পনা কেন্দ্রের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ফেব্রুয়ারিতে সংসদে বাজেট বক্তৃতায় সীতারামন বলেছিলেন, ‘২০২১-২২ সালে আমরা এলআইসির আইপিও (বাজারে শেয়ার ছাড়ব) নিয়ে আসব। সেজন্য চলতি সেশনেই প্রয়োজনীয় স⛦ংশোধনী আনা হবে। আপাতত কেন্দ্রের হাতে এলআইসির ১০০ শতাংশ শেয়ার আছে।