জিএসটি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সংঘাত অব্যাহত। তারইমধ্যে করোনাভাইরাসের ধাক্কায় ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে রাজ্যগুলিকে ১২,০০০ কোটি টাকা ঋণ দিতে চলেছে কেন্দ্র। সেজন্য রাজ্যগুলিকে কোনও সুদ গুনতে হবে না। ৫০ বছরের মধ্যে সেই অর্থ কেন্দ্রকে মিটিয়ে দিতে হবে।সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্মলা সীতারামন জানান, মূলধনী খাতে ব্যয়ের জন্য রাজ্যগুলিকে সর্বমোট ১২,০০০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে। তাতে উত্তর-পূর্ব ভারতের আটটি রাজ্য এবং উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’-র পথে আরও একটি ধাপ হিসেবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ১,৬০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। ৯০০ কোটি পাচ্ছে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশ।বাকি টাকার মধ্যে ৭,৫০০ কোটি পাবে অন্যান্য রাজ্যগুলি। অর্থ কমিশনে শেয়ারের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মধ্যে সেই অর্থ বণ্টন করা হবে। প্রথম দফায় ৫০ শতাংশ অর্থ দেওয়া হবে। সেই টাকা খরচ করে উঠতে পারলে বাকি কিস্তির টাকা ছাড়বে কেন্দ্র। এছাড়াও আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের আওতাভুক্ত চারটি সংস্কারের মধ্যে যে রাজ্যগুলি তিনটির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে, কেন্দ্র তাদের আরও ২,০০০ কোটি টাকা দেবে বলে জানিয়েছেন সীতারামন।পাশাপাশি বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হাতে বাড়তি অর্থের সংস্থান করেছে কেন্দ্র। হাতে বেশি টাকা থাকলে তাঁরা বেশি খরচ করবেন। তার জেরে বাজার কিছুটা চাঙ্গা হবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র। সীতারামন জানিয়েছেন, এলটিসি ক্যাশ ভাউচার এবং অগ্রিম উৎসব ভাতার ফলে কর্মীদের যে ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, তার পরিমাণ হবে ৩৬,০০০ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাজারে ৭৩,০০০ কোটি টাকার চাহিদা বাড়বে বলে দাবি করেছেন সীতারামন।