যাবতীয় আশা আকাঙ্খা বুকে বেঁধে এদিন ‘চন্দ্রযান ৩’ পাড়ি দিল তার চন্দ্রাভিযানের লক্ষ্যে। ১৩০ কোটির স্বপ্নপূরণের ভার সঙ্গে নিয়ে চাঁদের🅘 উদ্দেশে পাড়ি দল ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ইসরো-র চন্দ্রযান ৩। ১৪ জুলাই, শুক্রবার দুপুর ২.৩৫ মিনিটে উৎক্ষেপণ হয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ এর।
এদিকে, দেশের মাহাকাশ গবেষণা ঘিরে যখন এই বড় ঘটনা ঘটছে, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বিশেষ আমন্ত্রণে ফ্রান্সে রয়েছেন। ফ্রান্স থেকেই এদিন এল 'চন্দ্রযান ৩' ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা। প্রধানমন্ত্রী তাঁর টুইটে লেখেন, ‘ভারতের মহাকাশ মহাসফরের মধ্যে একটি নতুন অধ্যায়ের লিখছে চন্দ্রযান-৩। এটি প্রত্যেক ভারতীয়ের স্বপ্ন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে উচ্চ করে তুলেছে।’ এরই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘ এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্তি আমাদের বিজ্ঞানীদের নিরলস নিষ্ঠা💟র প্রমাণ। আমি তাঁদের চেতনা এবং উদ্যমকে কুর্নিশ জানাই!’
ভারতের শ্রীহরিকোটা থেকে যখন 'চন্দ্রযান ৩' মহাকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে, তখন ফ্রান্সে বাস্তিল দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য আমন্ত্রিত ಌহয়ে সেখানে উপস্থিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বাস্তিল দিবসের প্যারাড শুরু হয়েছিল দুপুর ১.৩০ মিনিটে, আর তা চলতে থাকে ২.৩০ মিনিটে। ঠিক সেই সময় ভারতের ১৩০ কোটির স্বপ্ন বুকে নিয়ে চাঁদের পথে পাড়ি দেয় ‘চন্দ্রযান ৩’। শ্রীহরিকোটায় যখন উৎক্ষেপণ ঘিরে কাউন্টডাউনের জোরদার তৎপরতা, তখন প্যারিসের শ্যাম্প এলিসিতে ‘গেস্ট অফ অনার’ এর সম্মান নিয়ে উপস্থিত ছিলেন মোদী।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে যখন ‘চন্দ্রযান ২’ মহাকাশের পথে রওনা হয়, সেবার দেশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেবার তিনি নিজে বেঙ্গালুরুতে ইসরো হেডকোয়ার্টারে উপস্থিতল ছিলেন। সেদিনের গভীর রাতে কার্যত গোটা ভারত জেগে ছিল। সকলের নজর ছিল ইসরোর বার্তার দিকে। প্রধানমনন্ত্রীও ইসরোর দফতর থেকে প্রত্যক্ষ করছিলেন চন্দ্রযান ২ এর পরিস্থিতি। তখনই আসে বার্তা, যে চন্দ্রযান -২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এরপর একরাশ নিরাশা আসা দেশের বুকে। সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০২৩ সালে চাঁদের দেশে পা🐈ড়ি দিল চন্দ্রযান-৩।