বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই ভারতের অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে শ্রদ্ধা ওয়াকরের নৃশংস খুনের ঘটনা। সেই মামলায় এবার সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি পাতার চার্জশিট পেশ করল দিল্লি পুলিশ। এবং সেই চার্জশিটেই উঠে এসেছে এই খুন সম্পর্কিত আরও চাঞ্চল্য সব তথ্য। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, শ্রদ্ধা ওয়াকর মৃত্যুর আগে একজন বন্ধুর সঙ্গে প্রায়ই দেখা করতেন। লিভ-ইন পার্টনারের এভাবে ঘন ঘন বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ নাকি মেনে নিতে পারেনি আফতাব পুনাওয়ালা। এবং এরপরই আরও হিংস্র হয়ে উঠেছিল আফতাব। মঙ্গলবার ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আফতাবকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আফতাবের জেল হেফাজতের মেয়াদ ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: ফের ঝামেলায় ๊জড়ালেন কাউন্♑সিলররা, স্থগিত হয়ে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন)
পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মিনু চৌধুরী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, 'ঘটনার দিন শ্রদ্ধা ওয়াকর তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আফতাব পুনাওয়ালার সেটা পছন্দ হয়নি। এর পরেই সে হিংস্র হয়ে ওঠে এবং এই ঘটনাটি ঘটায়।' এদিকে ১৫০ জনেরও বেশি সাক্ষীর বয়ান, ফরেনসিক এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রমাণের উল্লেখ রয়েছে আফতাবের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৬৬২৯ পাতার চার্জশিটে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, শ্রদ্ধা হত্যাক🦩াণ্ডে তদন্তে ৯টি দল গঠন করা হয়েছিল। প্রমাণ সংগ্রহের জন্য তদন্তকারীরা হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং হিমাচল প্রদেশে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, অনলাইন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে শ্রদ্ধা এবং আফতাবের আল𒉰াপ হয়েছিল। পরবর্তীতে মুম্বইয়ে আফতাবের সঙ্গে একই কলসেন্টারে কাজ শুরু করেছিলেন শ্রদ্ধা। কিন্তু ভিনধর্মের হওয়ায় শ্রদ্ধাদের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি ছিল পরিবারের। সেই পরিস্থিতিতে আফতাবের সঙ্গে মুম্বই ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। পুলিশ জানিয়েছে, গতবছর ১৮ মে শ্রদ্ধা ও আফতাবের ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরেছিল আফতাব। তারপর তাঁকে খুন করেছিল সে। পুলিশ জানিয়েছে, হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছিল আফতাব। কয়েক বছর আগে শেফ হিসেবেও কাজ করত। কীভাবে মাংস কাটতে হবে, তা নিয়ে দু'সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। সেই প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো-টুকরো করেছিল আফতাব। এমনকি দেহ লোপাট করার উপায় জানতে গুগলেরও সাহায্য নিয়েছিল আফতাব। নিজের প্রেমিকের দেহের ৩৫ টুকরো করে তা জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসেছিল আফতাব। তিনমাস ধরে সে দেহের অংশগুলি ফ্রিজে রেখে দিয়ে🍎ছিল। পরে দক্ষিণ দিল্লির মেহারুলি এলাকায় একটি জঙ্গল থেকে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক