সিকিমের বিভীষিকার পরে একটা ছবি ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে দ𒈔েখা ꦬগিয়েছিল এক ব্যক্তি গাছ জাপটে বসে রয়েছেন। নীচে দিয়ে সর্বগ্রাসী তিস্তা ফনা তুলছে। এই ছবি দেখে শিউরে উঠেছিলেন অনেকেই। কিন্তু কে সেই ব্যক্তি? টিভির পর্দায় সেই ছবি দেখে পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে বুক কেঁপেছে অনেকের। কিন্তু কে ওই ব্যক্তি?
সূত্রের খবর, তিনি হলেন শিলিগুড়ির মহারাজা কলোনির বাসিন্দা মহম্মদ। নাম মহম্মদ মুক্তার। শিলিগুড়ির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। অনেক দিন ধরেই তিনি সিকিমে থাকেন। কর্মসূত্রেই তিনি সিকিমে থাকতেন। তাঁর সঙ্গেই ২ 🐽মেয়ে ও ১ ছেলে থাকতেন।
ঠিক কী হয়েছিল ওই রাতে ?
তিনি সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, সিকিমের রংপোতে টিনের চালের ছোট্ট বাড়িতে থাকতেন তিনি। অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছিল রাতে। কাছেই তিস্তা। ক্রমেই ফুঁলে উঠছে নদী। বিপদ দোরগোড়ায় বুঝতে পেরেই ছেলে 🀅মেয়েদের ঘুম থেকে জাগিয়ে দেন তিনি। এরপর তাদের নিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু এত কাছে তিস্✤তা এল কীভাবে?
প্রবল ꦺস্রোতে চারদিক তখন উথালপাথাল। কিছু বুঝতে না পেরে ছেলেকে টিনের চালে তুলে দেন তিনি। কিন্তু রাতের অন্ধকারে কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি। কখন যে হাত ছেড়ে গিয়েছে মেয়েদের। আর তাদের খোঁজ নেই। ছেলেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই ভয়ঙ্কর তিস্তার হাত থেকে বাঁচানো কী মুখের কথা! চোখের সামনে টিনের ঘরটাকে টেনে নিয়ে গেল তিস্তা। তিস্তার ঘূর্ণি স্রোত টেনে নিল ছেলেটাকেও। সব শেষ।
একলা নিঃস্ব মুক্তার জড়িয়ে ধরলেন একটা গাছকে। নীচে নদী। সেই নদী খেয়ে নিয়েছে তাঁর সন্তানদের। নিখোঁজ দুই 🌃মেয়ে। প্রায় ৬ ঘণ্টা তিনি গাছ ধরে বসে ছিলেন। বুধবার দুপুরে তাঁর ছেলের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েরা নিখোঁজ।
চোখের সামনে সব শেষ। স্ত্রী বিহারে চলে যাওয়ার পরে সন্তানদের আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতেন মুক্ত🍷ার꧟। তারাই ভেসে গেল তিস্তায়। একবুক শূন্যতা নিয়ে বুক চাপড়াচ্ছেন বাবা।