শিশির গুপ্ত
একেই বলে প্রকৃতির🎉 মার। নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে গালওয়ান নদী তীরের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার জেরে নদী উপত্যকায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা চিনা সেনাদের তাঁবু ভেসে গেল। এবার♔ চিনা সেনাকে বাধ্য হয়ে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হতে পারে।
গালওয়ানে 🥂সংঘাতের পয়েন্টের পাঁচ কিলোমিটার দূরে ফৌজি জড়ো করছিল চিন। এক উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে জানিয়েছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে আকসাই চিন এলাকা থেকে উৎপন্ন হওয়া গালওয়ান নদীর জলস্তর বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘দ্রুত হারে বরফ গলতে থাকায়, (গালওয়ান) নদীর তীরের যে কোনও জায়গা বিপজ্জনক।’ উপগ্রহ চিত্র এবং ড্রোনের ছবি থেকেও ইঙ্গিত মিলেছে, গালওয়ানের পিছনের দিকে চিনা তাঁবুগুলি জলের তলায় চলে গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এমনিতেই গালওয়ানের জল কনকনে ঠান্ডা থাকে। তার উপর তাঁবু জলে ভেসে যাওয়ায় আপাতত চিনা সেনার কাছে পিছিয়ে যাওয়🅷া ছাড়া কোনও গতি নেই। তবে শুধু সেখানে নয়, গোগরা, হটস্প্রিং এবং প্যাংগং সো লেকে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে গেলে চিনকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলে মতে ওই সেনা আধিকারিকের। তাঁর মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না এলে সংঘাত শীত পার করেও চলতে পারে। সেই প্রবল ঠান্ডার মধ্যে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার কাজটা মোটেই সহজ নয়।
বেজিংয়ের তরফে মাঝেমধ্যে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা নিয়ে আশাপ্রকাশ করা হলেও সীমান্তে চিন যে পিছু হটছে, সেরকম কোনও প্রমাণ মেলেনি। বরং গালওয়ান উপত্যকায় যে𓃲খানে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ঘাঁটি গেড়ে আছে, সেখানে ফাইবার অপটিক বসানোর খবর মিলেছে। প্যাংগং সো লেকের ফিঙ্গার এরিয়ায় চিন একটি টানেল তৈরির চেষ্টা করছে বলেও একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তা থেকেই স্পষ্ট যে ডোকলাম বিবাদের থেকেও বেশিদিন চলবে এবারের সীমান্ত বিবাদ। গত মে'র গোড়ার দিকে ভ🍒ারত অনুমান করেছিল, ডোকলামের ৭৩ দিনের টানাপোড়েনের থেকেও বেশিদিন গড়াবে নয়া সীমান্ত সংঘাত। যা ইতিমধ্যে ৬০ দিনে অতিক্রমের পথে।
যদিও গত শুক্রবার লেহ সফর♔ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন, ভারত শান্তি চায়। একইসঙ্গে সর্বশক্তি নিয়ে নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা করবে ভারত। অর্থাৎ তিনি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কীভাবে বিবাদ✨ শেষ হবে, তা বেজিংয়ের কাজের উপরই নির্ভর করবে। সেজন্য সীমান্তে ক্ষমতা বাড়ানো-সহ যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে ভারত। সেনার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘আমরা যে কোনও ঘটনার জন্য প্রস্তুত।’