নির্বাচনী বন্ড মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তুমুল ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন একাধিক সিনিয়র আইনজীবী। যে তালিকায় নাম আছে ভারতের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগিরও। তাঁকে একেবারে স্পষ্টভাষায় ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন যে সিনিয়র আইনজীবী বলে তাঁকে বাড়তি কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না। বাকিদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম আছে, রোহতগিকেও ♐সেই নিয়ম মেনে চলতে হবে। সেইসঙ্গে নির্বাচনী বন্ড মামলায় হস্তক্ষেপের জন্য আইনজীবী ম্যাথিউজ নেদুমপারা এবং সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আদিশ আগরওয়ালকেও ভর্ৎসনা করেছে শীর্ষ আদালত। বিশেষত নেদুমপারার উদ্দেশ্যে ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমার উপর চেঁচাবেন না।' অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির উদ্দেশ্য প্রধান বিচারপতি বলেন, '....অন্যথায় আমায় আরও কিছু বলতে হবে, যা অস্বস্তিকর হতে পারে।'
নেদুমপারার ক্ষেত্রে কী হয়েছিল?
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় নেদুমপারা দাবি করেন যে নির্বাচনী বন্ড পুরোপুরি নীতিগত বিষয়, যাতে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। কথা শেষ করার আগেই তাঁকে থেমে যেতে বলেন প্রধান বিচারপতি।ౠ কিন্তু নেদুমপারা কথা বলে যেতে থাকেন। তিনি বলেন, 'আমি এই দেশের একজন নাগরিক।' তারপরই একেবারে কড়া ভাষায় প্রধান বিচারপতি বলেন, 'এক সেকেন্ড। আমার উপর চেঁচাবেন না।' তা শুনে নেদুমপারা বলেন, 'না, না, আমি খুব মৃদুভাষী।'
তাতে অবশ্য প্রসন্ন হননি প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, 'এটা হাইড পার্ক কর্নার মিটিংয়ের জায়গা নয়। আপনি আদালতে আছেন। আপনি আবেদন জানাতে চাইলে সেই কাজটা করুন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমার যেটা সিদ্ধান্ℱত, সেটা আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি। আমরা আপনার কথা শুনল না। আপনি যদি আবেদন করতে চান, তাহলে ইমেলের মাধ্যমে করুন। এটাই আদালতের নিয়ম।'
প্রধান বিচারপতির কড়া বার্তার পরও নেদুমপারা কথা বলে যেতে থাকেন। তখন বিচারপতি বিআর গাভাই বলেন, 'আপনি বিচারব্যবস্থার প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছেন।' তারপরও নেদুমপারা কথা বলে যেতে থাকায় শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ মন্তব্য করে, 'যতক্ষণ না নিয়ম মেনে কাজ করছেন, ততক্ষণ আপনার কোনও আর্জি শুনব না আমরা।' সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালত স্পষ্টভাবে বলে দেয় যে ‘আমার সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলুন।’ উল্লেখ্য, অতীতে আদালত অবমাননার মুখে পড়েছিলেন𒆙 নেদুমপারা।
সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির ক্ষেত্রে কী হয়েছিল?
শুনানির সময় হস্তক্ষেপ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি🥂কেও ভর্ৎসনা করেছে শীর্ষ আদালত। ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, 'মিস্টার আগরওয়াল, আপনি একজন সিনিয়র আইনজীবীর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও। আপনি ইতিমধ্যে আপনার বিষয়টা লিখে জানিয়েছেন। এগুলো সব প্রচার-নির্ভর এবং আমরা সেটা হতে দেব না। সেটা মাথায় রাখবেন। অন্যথায় আমায় আরও কিছু বলতে হবে, যা অস্বস্তিকর হতে পারে।'
আরও পড়ুন: NO Mob🅰ile in Class: ক্লাসে ফেসবুক দেখেন? ফের স্কুলের স্যারেদের বড় নির🌠্দেশ শিক্ষা দফতরের
রোহতগির ক্ষেত্রে কী ঘটনা ঘটেছিল?
নির্বাচনী বন্ড মামলায় অ্যাসোচেম এবং ফিকির আইনজীবী রোহতগি যে আবেদন ꧟করেছিলেন, তা শুনতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। তিনি দাবি ক🔯রেন যে বন্ডের নম্বর প্রকাশ করার সময়সীমা কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হোক, যাতে দুই বণিক সংস্থা নিজেদের পক্ষ তুলে ধরতে পারে।
সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'পুরো দুনিয়া জানত যে এই বিষয়টার শুনানি হচ্ছে। রায়দানের পরে আপনি আসছেন। এভাবে হয় না। আমি যদি সিনিয়র আইনজীবী মিস্টার রোহতগির জন্য নিয়ম শিথিল করি, তাহলে প্রধান বিচারপতি হিসেবে জুনিয়র 𝐆আইনজীবীদের কাছে আমি মুখ দেখাতে পারব না। সকালেই যাঁদের মৌখিক সওয়ালের আর্জি খাꦡরিজ করে দিয়েছি। সকলের ক্ষেত্রে সমান ব্যবহার করতে হবে।'