শনিবার গভীর রাতে শিমলার স্বামী রামকৃষ্ণ আশ্রমে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারির ঘটনায় পাঁচজন আহত হ♒য়েছেন।
সিমলার পুলিশ সুপার সঞ্জীব কুমার গান্ধী ঘটনার সত্🏅যতা নিশ্চিত করে অশান্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
"দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির জেরে ৫ জন আহত হয়েছেন। দলগুলো একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে। আমরা প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি এফআইআর দায়ের করেছি এবং ✅তদন্ত চলছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আইনশৃঙ্খলা আমাদের অগ্রাধিকার। জানিয়েছেন পুলিশ সুপ🉐ার।
'আমাদের দল ঘটনাস্থলে ছিল যা♛তে মধ্যরাতে শান্তি বজায় থাকে এবং সম্পত্তি সুরক্ষিত থাকে। আমরা মধ্যরাতে বিষয়টি সমাধান করেছিলাম কিন্তু হঠাৎ দুষ্কৃতীরা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে।
আধিকারিক জানিয়েছেন যে আশ্রমে প্রার্থনা ও ধ্যানের পরে ঝগড়া শুরু হয়েছিল। আশ্রমে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ𝕴 তুলে বℱিক্ষোভ দেখান একদল ভক্ত, এরপরই হিংস্র হয়ে ওঠেন তারা এবং মারামারি শুরু হয়।
সপা আরও বলেছ𒉰িলেন যে এই ঝগড়ায় 🌄বিজেপি এবং এবিভিপির সমর্থকরা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বিষয়ে নথিভুক্ত এফআইআরে দুটি গোষ্ঠীর নাম রয়েছে।
‘অব্যবস্থাপনা এবং আশ্রমের কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে, মন্দির কর্তৃপক্ষ এই দাবি অস্বীকার করেছে এবং বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিবে🌳চনাধীন একটি আইনি বিরোধের দিকে ইঙ্গিত করেছে,’ বলেছেন ওই কর্মকর্তা।
খবর (এএনআই) সূত্রে।
পিটিআই জানিয়েছে, হিমালয় ব্রাহ্মসমাজ ও রামকৃষ্ণ মিশ𒊎ন আশ্রমের মধ্যে বিবাদের জেরে তিন পুলিশকর্মী-সহ সাতজন জখম হয়েছেন।
ಌসংঘর্ষে ব্রাহ্মসমাজ সম্পত্তির মধ্যে অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের চত্বরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়𓆏েছে।
সিমলার পুলিশ সুপার সঞ্জীব কুমার গান্ধী জানান, শনিবার সন্♕ধ্যায় হিমালয় ব্রাহ্মসমাজের সঙ্গে যুক্ত বৃদ্ধা-সহ শতাধিক মানুষ শান্তিপূ༒র্ণভাবে আশ্রম চত্বরে প্রার্থনা করতে ঢোকার পর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সদস্যরা রাত্রি পর্যন্ত প্রার্থনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু🐷 রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সদস্যরা আপত্তি জানিয়ে বলেন, তারা রাতে আশ্রম বন্ধ রাখতে চান।
আশ্রমের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় আশ্রম কর্তৃপক্ষ পুলিশ ও পඣ্রশাসনকে সাহায্য 𒐪করার জন্য ডেকেছিল।
এসপির মতে, বিষয়টি একটি সংবেদনশীল বিষয় কারণ এটি ধর্মীয় ভাবাবেগের সাথে জড🍸়িত, তাই পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছিল এবং বিষয়টি সমাধা𒊎নের চেষ্টা করছিল।
কিন্তু হিমালয় ব্রাহ্মসমাজের অনুগামীরা যখন তাদের প্রার্থনা শেষ করে রবিবার প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হবে এই শর্তে চলে যেতে রাজি হন, তখন রামকৃষ্ণ আশ্রমের সমবেত লোಌকজন পাথর ছুঁড়তে শুরু কর🐟ে, এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ সাতজন আহত হন।
শীতল ব্যাস, তাঁর স্বামী এবিভিপি নেতা নীতিন ব্যাস-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩২ ধারা (সরকারি কর্মচারীর উপর হামলা), ১২১ (সরকারি কর্মচারীকে আঘাত করা), ২২১ (বাধা দেওয়া)✅, ১৯১ (বেআইনি জমায়েত), ১৯৪ (২) (প্রকাশ্য লড়াই) (শান্তি বিঘ্নিত করার প্রকাশ্য লড়াই) এবং ১৯৬ (২) (উপাসনাস𓂃্থলে অপরাধ) ধারায় দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ একথা জানিয়েছে।
রামকৃষ্ণ আশ্রমের সম্পা𒆙দক স্বামী তন্মহিমানন্দ অভিযোগ করেছেন যে ব্রাহ্মসমাজ ধ🔯র্মীয় উদ্দেশ্যে এই সম্পত্তি আশ্রমকে হস্তান্তর করেছিল এবং ২০১৪ সাল থেকে মিশন সেখানে বসবাস করছে।
তন্মহিমানন্দ জানান, শনিবার তাঁদের গার্ডনার, যিনি আশ্রম চত্বরের দেখাশোনা করেন, এবং কয়েকজন ইউনিয়ন নেতা কালীবাড়ি মন্দিরে একটি সম্মে🎀লন করেন।
এরপরে, তারা ভক্ত হিসাবে আশ্রমে প্রবেশ করে এবং পূজা করে, প্রবচন শুনে এবং রাত সাড়ে আটটায় যখন🐼 তারা আশ্রমটি বন্ধ করতে চায়, তখন হিমালয় ব্রাহ্মসমাজের সদস্যরা 'জয় ব্রাহ্ম, এটি আমাদের মন্দির এবং আপনি এ🐷টি দখল করেছেন' স্লোগান তোলেন এবং খালি করতে অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেরই পুজো করার অধিকার রয়েছে তবে আশ্রমের দখল নেওয়ার অধিকার কা♔রও নেই এবং আমাদের দাবি হিমালয় ব্রাহ্মসমাজের লোকেরা মন্দির (আশ্রম) 📖খালি করুন’।
আশ্রমের সহ-স𓃲ম্পাদক স্বামী রাম রূপানন্দ বলেন, জোর করে মন্দিরের দখল নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং প্রশাসন ও পুলিশ এꦍই ঘটনার প্রতি নীরব দর্শক ছিল।
এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
সিমলার হিমালয়ান ব্রাহ্মসমাজের ট্রাস্টি এম আর সগ্রোলি জানিয়েছেন, সিমলায় দু'দিনের ব্রাহ্মসমাজ সম্মেলন অনুষ্ঠিত 🏅হয়েছে এবং সারা দেশ থেকে তাঁদের সদস্যরা মন্দিরে (আশ্রম) যেতে চেয়েছিলেন এবং তাঁদের সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত।
এটি বড় কোনো বিরোধ নয় বলেও জানান তিনি।