মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের পাহাড়ি অঞ্চলে আকস্মিক ধসে কুড়ির অধিক মৃত্যু হয়েছিল। ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ে বহু মানুষ মারা গেছেন, বহু শিশু হারিয়েছে তাদের মা-বাবাকে। এই পরিস্থিতিতে অভিভাবক হারানো অনাথ শিশুদের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেবেন, এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।রায়গড়ের ভুমি ধস সম্পর্কে শাসকদল শিবসেনার তরফে বলা হয়েছে, ‘রায়গড় জেলার ইরশালওয়াড়ি গ্রামে বহু শিশু তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন যে, তিনি ওই শিশুদের দত্তক নেবেন এবং তাদের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করবেন।’ শিবসেনার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে ২ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের দেখভালের দায়িত্ব নেবে শ্রীকান্ত শিন্ডে ফাউন্ডেশন। প্রসঙ্গত, শ্রীকান্ত মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে। গত বুধবার, ১৯ জুলাই রাত ১১টা নাগাদ হঠাৎ করেই ধস নামে আদিবাসী অধ্যুষিত ইরশালওয়াদি গ্রামে। ঘুমন্ত অবস্থাতেই ধসের জেরে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় অনেকের। প্রতিকূল পরিবেশে উদ্ধারকাজ সহজ হয়নি। উদ্ধার কাজের প্রক্রিয়া যত এগিয়েছে, ততই মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে থেকেছে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ধস বিধ্বস্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন শিন্ডে।দুটি পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত ওই গ্রামটিতে উদ্ধারকারী দল পৌঁছতেও বেশ সমস্যা হয় ৷ প্রতিকূল ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সেখানে গাড়ি ঢুকতে পারছিল না, ফলে উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হয়েছে উদ্ধারকারী দলের ৷ শিন্ডে ছাড়াও উদয় সামন্ত, গিরিশ মহাজন এবং দাদা ভুসে প্রমুখ মন্ত্রীরা ইরশালওয়াদি গ্রামে উদ্ধারকার্যে তদারকি করেন। তবে সরকারি সাহায্য ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের ফাউন্ডেশন এই দায়িত্ব নেওয়ায় আর্থিক সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে এটা বলাই যায়।