ꦚকরোন꧂াভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই অভিযোগ বরাবর তুলতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বারবার তিনি চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। এমনকী এবার নয়াদিল্লি সফরে গিয়ে দেখা করে এই দাবিই জানিয়েছেন। এবার করোনা টিকা বণ্টনের রাজ্যওয়াড়ি হিসাব সংসদে পেশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সংসদে এখন বাদল অধিবেশন চলছে। সেখানে পেশ করা হিসাব অনুযায়ী, দেশের অন্যান্য পাঁচ রাজ্যকে পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি রাজ্যের জনসংখ্যা বাংলার তুলনায় কম। এই তিনটির মধ্যে দু’টি হল—বিজেপি শাসিত গুজরাত এবং কর্নাটক। তৃতীয়টি রাজস্থান।
এই পরিপ🐼্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায় সংসদে জানতে চেয়েছিলেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কোন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে কত করোনাভাইরাস টিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার, শুক্রবার গত ছ’মাসে পাঠানো টিকার হিসাব দিলেন লোকসভায়। আর তাতেই বেরিয়ে এলো বাংলা পেয়েছে কম সংখ্যক টিকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিতেই পড়ল সিলমোহর।
সংসদে পেশ করা তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরে সবমিলিয়ে ৩৫ কোটির বেশি টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে দু’টি রাজ্য তিন কোটির বেশি টিকা পেয়েছে। সর্বোচ্চ পেয়েছে মহারাষ্ট্র। সাড়ে তিন কোটির মতো। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ। সে রাজ্যে তিন কোটির বেশি টিকা পাঠানো হয়েছে। এই দুই রাজ্যেই জনসংখ্যা বাংলার থেকে বেশি। মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি বেশি টিকা পেয়েছে যথাꦆক্রমে গুজরাত, রাজস্থান এবং কর্নাটক। তার পর পশ্চিমবঙ্গ। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ১০ কোটির বেশি। ওই তিন রাজ্যের থেকেই বেশি।
সংসদে পেশ করা পরিসংখ্যান যখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বাংলা কম পেয়েছে টিকা তখন তার বিরুদ্ধে সরব🍸 হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সংসদের ভেতরে–বাইরে এই ইস্য🎃ুতে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে চেপে ধরা হবে বলেই খবর। কেন পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চিত করা হলো? এই প্রশ্ন এবার তোলা হবে সংসদের দুই কক্ষেই। সঙ্গে থাকবে সরকারি নথি।