দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার পেয়েছেন ছেলে। কিন্তু তাতে রীতিমতো হতাশ কর্নেল বি সন্তোষ বাবুর পরিবার। যিনি ১৬ বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন꧙ এবং গত বছর ১৫ জুন গালওয়ান সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের সন্ধ্যায় বীরত্বের পুরস্কারের আনুষ্ঠানিকꦺ ঘোষণার পর কর্নেল বাবুর বাবা বিকুমাল্লা উপেন্দর বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত হতাশ। দেশের জন্য আমার ছেলে যেভাবে আত্মবলিদান দিয়েছিলাম, তাতে আমি ভেবেছিলাম যে ওকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার পরমবীর চক্র প্রদান করা হবে।’ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) অবসরপ্রাপ্ত কর্মী জানান, দেশের জন্য তাঁর ছেলে যে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন, তা মোটেও সাধারণ নয়। তিনি বলেন, ‘প্রতিকূল আবহাওয়ায় ও ১৬ বিহার রেজিমেন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। আদতে গালওয়ান উপত্যকায় আবহওয়াই প্রধান শত্রু ছিল। তা সত্ত্বেও ও ১৩ মাস ওখানে ছিল। সেই সময় শত্রুদের মোকাবিলার পাশাপাশি নিজেকে শারীরিকভাবে চাঙ্গা রেখেছিল।’
গত বছর গালওয়ান উপত্যকার প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৪-এর কাছে চিনা সেনার সঙ্গে সাত ঘণ্টার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৭ বছরের কর্নেল বাবু-সহ ২০ ভারতীয় জওয়ান। চিনা ফৌজির সংখ্যা ঢের বেশি হওয়া সত্ত্বেও নিজেদের শেষ র🌞ক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করেছিলেন ভারতীয় জওয়ানরা। কর্নেল বাবুর বাবা বলেন, ‘চিনা ফৌজিদের বিরুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিল আমার ছেলে। চিনের ফৌজির সংখ্যা ঢের বেশি ছিল। ওর সাহসিকতার জন্য চিনা বাহিনীকে পিছু হটতে হয়েছিল।’
তিনি দাবি করেন, কর্নেল বাবুর মৃত্যুর পরেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে চিনের মুখোশ খুলে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও পরমবীর চক্রের পরিবর্তে কর্নেল বাবুকে মহাবীর চক্র প্রদান করেছে কেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ স𒁃িং বলেছিলেন যে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বের জন্য গালওয়ান উপত্যকায় এক ইঞ্চিও জমি হাতিয়ে নিতে পারেনি চিন।’
হতাশ কর্নেল বাবুর মা মঞ্জুলাও। ছেলেকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার দেওয়ার খবরে♏ একেবারেই খুশি হননি তিনি। বলেন, ‘আম💦ি সর্বোচ্চ মেডেল ভেবেছিলাম। এটা নয়।’ তিনি স্মরণ করিযে দেন, গালওয়ানে যে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন কর্নেল বাবু, তাতে অনুপ্রাণিত হয়েছেন দেশের লাখ-লাখ যুবক-যুবতিরা। তাঁর ছেলে আদর্শ হয়ে উঠেছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘ওর আত্মবলিদানে দেশের সব মানুষের মধ্যে দেশাত্মবোধের অনুভূতি তৈরি হয়েছিল। ও সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান পাওয়ার যোগ্য।’
তাহলে কি প্রতিবাদস্বরূপ কেন্দ্রের কাছে চিঠি লেখা হবে? কর্নেল বাবুর মা বলেন, ‘না,൲ আমরা এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে চাইনি। পুরস্কার ঘোষণার পর শুধুমাত্র নিজ🍷েদের মতামত জানাতে চেয়েছিলাম।’ সে বিষয়ে সন্তোষ বাবুর স্ত্রী সন্তোষীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। যিনি ইয়াদারি ভঙ্গির জেলায় শিক্ষানবীশ ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।