গত সপ্তাহেই কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, ২১০ কোটি দাবি করে, কর সংক্রান্ত মামলায় পার্টির বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ💙্রিজ’ করে দিয়েছে আয়কর বিভাগ। এবার বুধবার কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, তাদের কংগ্রেস ও যুব কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে আয়কর বিভাগ। আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত কাণ্ডে, করের টাকা আদায়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ককে চিঠি লিখে আয়কর বিভাগ কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা তুলে নিতে নির্দেশ দিয়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের। কংগ্রেস এই মামলায় ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয়েছে। সেখানে ২১ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি পর্যন্ত এই ঘꦰটনায় পরিস্থিতি একইভাবে বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছিল।
সূত্রের দাবি, ২০ ফেব্রুয়ারি, কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৫ কোটি টাকা তুলে নেয়। মোট প্রদেয় করের ১১৫ কোটির মধ্যে থেকে এই পরিমাণ টাকা আয়কর দফতর উদ্ধার করেছে বলে খবর। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর বলছে, ট্রাইবুনালের নির্দেশ ২১ ফেব্রুয়ারি কি আসে, তা না দেখেই পদক্ষেপ করেছে আয়কর বিভাগ। কংগ্রেসের তরফে এক এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে ঘটনাকে ‘গণতন্ত্র বিরোধী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেসেক ট্রেজারার অজয় মাকেন। অজয় মাকেন তাঁর পোস্টে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্মপদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ট্রাইবুনালে শুনানির আগেই আয়কর দফতরের এমন পদক্ষেপ কেন? প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। সূত্রের দাবি, আয়কর বিভাগের কাছে কংগ্রেস 𒀰ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে, যাতে দফতর এই মামলার শুনানি শেষের আগে আর কোনও পদক্ষেপ না করে।
গত সপ্তাহে, কংগ্রেসের ট্রেজারার অজয় মাকেন দাবি করেন, ২০১৮-১৯ সালের আয়কর সংক্রান্ত অনাদায়ের এক মামলায় আয়কর বিভাগ সদ্য ২১০ কোটি টাকা নিয়ে পদক্ষেপ করেছে। কংগ্রেসের দাবি ছিল, তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাইবুনালে আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, তারা কংগ্রেসের কোনও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি, তা 'লিয়েন' করা হয়েছে। ‘লিয়েন’ বলতে আইনি পরিভাষায় বলা যায়, যতক্ষণ না প্রাপ্য আদায় হচ্ছে, ততক্ষণ যার থেকে প্রাপ্তির কথা, তার সম্পত্তিতে অধিকার সংক্রান্ত একটি বিধি। এর আগে, আয়কর দফতরের পদক্ষেপের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল ট্রাইবুনালে আবেদন করেছিল কংগ্রেস। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আয়কর দফতরের কাছ থেকে জবাবদিহি চেয়েছিল ট্রাইবুনাল। এর আগে অজয় মাকেন জানিয়েছিলেন, আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত অꦺনিয়মের অভিযোগে ২১০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে কংগ্রেসকে। তবে সেই মামলাটি ট্রাইবুনাꦬলে বিচারাধীন।