মণিশঙ্কর অস্বস্তি কাটাতে ৬২'র চিনা দখলদারি মানল কংগ্রেস। সঙ্গে মোদীকে পালটা তোপ দাগল ২০২০ নিয়ে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ১৯৬২ সালের চিনা হামলা নিয়ে কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই বিতর্ককে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে 'চিনা প্রেম' নিয়ে তোপ দাগে বিজেপি। উল্লেখ্য, মণিশঙ্কর আইয়ার ১৯৬২ সালের চিনা দখলদারিকে 'তথাকথিত' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটের আগে কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়ে দল। এরপর মণিশঙ্কর আইয়ারের বয়সের দোহাই দিয়ে মোদীকে পালটা তোপ দাগে কংগ্রেস। পাশাপাশি মণিশঙ্কর আইয়ারের মন্তব্য থেকে দলের দূরত্ব তৈরি করা হয়। (আরও পড়ুন: 'এবার বাংলা♛য় বিজেপি…', রাজ্যে লোকসভা꧑ ভোটে দলের স্ট্রাইক রেট নিয়ে বড় দাবি মোদীর)
আরও পড়ুন: দড়ি টানাটানির লড়াইতে ভারতের সামনে ম🐭ুখ থুবড়ে পﷺড়ল চিনা সেনা! ভাইরাল ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: মোদী ফের জিতলে কোন কোন শেয়ারের দাম বাড়বে? সা🍌মনে এল বড় ভবিষ্যদ্বাণ💛ী
মণিশঙ্করের মন্তব্যে বিতর্কের আবহে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তা পোস্ট করে মণিশঙ্করের মন্তব্য থেকে দলের দূরত্ব তৈরির কথা জানান। সঙ্গে তিনি মোদী সরকারকে ꧅পালটা গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে প্রশ্ন করেন। নরেন্দ্র মোদীর এক পুরনো বক্তব্য শেয়ার করেন জয়রাম রমেশ। সেখানে মোদীকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'না আমাদের সীমায় কেউ ঢুকে পড়েছিল, না কেউ এখনও ঢুকে বসে আছে, না আমাদের কোনও পোস্ট শত্রুপক্ষের দখলে আছে।'
আরও পড়ুন: বুথভিত্তিক ভোটের হিসেব কষলেন TMC প্রার্থী, EC-কে সওয়ඣাল- 'আপনাদের কত সময় লাগবে?'
এই আবহে জয়রাম রমেশ দাবি করেন মণিশঙ্কর আইয়ার তাঁর মন্তব্যের জন্যে ক্ষমা চেয়েছেন। আর তাঁর বয়সের জন্য তাঁকে কিছুটা ছাড় দেওয়া উচিত। তিনি যে শব্দবন্ধ প্রয়োগ করেছেন, তা থেকে কংগ্রেস দল নিজেকে দূরে রাখছে। ১৯৬২ সালের ২০ অক্টোবর চিন ভারতের জমি দখল করেছিল। ২০২০ সালের মে মাসেও লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশ হয়েছিল। আমাদের দেশের ২০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। এর জেরে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বদলেছে। তবে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী চিনকে ২০২০ সালের ১৯ জুনে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন। এর জেরে আমাদের দর কষাকষির জা🎃য়গা নষ্ট হয়েছে। আমাদের অবস্থান দুর্বল হয়েছে। ডেপসাং, ডেমচক সহ আমাদের ২০০০ বর্গ কিমি জমিতে এখন আমাদের সেনার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
আরও পড়ুন: 'সত্যিকারের নেতা এবং রোল মডেল', ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে সম্মানিত করবে 🦩UN
এর আগে মণিশঙ্করের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য তোপ দেগেছিলেন কংগ্রেসকে। তাঁর কথায়, 'মণিশঙ্কর আইয়ার ১৯৬২ সালের চিনা দখলকদারিকে 'তথাকথিত' আখ্যা দিয়েছেন। এটা রিভিশনিজমের এক নির্লজ্জ প্রচেষ্টা। চিনের জন্য নেহরু রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী মউ স্বাক্ষর করেন। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন চিনা দূতাবাস থেকে অনুদান෴ গ্রহণ করে। এরপর চিনা দূতাবাস এক রিপোর্ট প্রকাশ করে চিনা সংস্থাগুলির জন্য মার্কেট অ্যাক্সেসের কথা বলে। সোনিয়া গান্ধীর ইউপিএ সরকার এরপর চিনা সংস্থাগুলির জন্য ভারতের বাজার উন্মুক্ত করে দেন। ভারতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এখন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার চিনা দখলদারির ঘটনাটিকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চান। সেই সময় ভারতের ৩৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিন বেআইনি ভাবে দখল করেছিল। চিনের প্রতি কংগ্রেসের এই ভালোবাসা কেন?'