গোটা দেশেই এখন কংগ্রেসের হাল বেহাল। চারিদিকে শুধু ভাঙনের খবর মিলছে। তার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে দলের অন্দরে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই পরিস্থিতিতে এবার একই ছবি দেখা গেল ইম্ফল রাজ্যে। সেখানের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দাস কনথৌজাম–সহ আরও দু’জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে কংগ্রেস হাইকমান্ড, মণিপুরে দলের ইনচার্জ করে ভক্ত চরণদাসকে পাঠিয়েছে।এখনই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে না পারলে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হবে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন। একইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব এবং গোয়াতে বিধানসভা নির্বাচন। তাই সবদিক বজায় রাখতে মণিপুরের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড বলে সূত্রের খবর। আবার এই ড্যামেজ কন্ট্রোলও করতে বলা হয়েছে।বিষয়টি এখন আর চাপা নেই। কারণ এই বিষয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র নিঙ্গোমবম ভুপেন্দ মেইটেই। তিনি লিখেছেন, ‘কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে ওয়াকিবহাল এবং ভবিষৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁর নির্দেশে মণিপুরের এআইসিসি ইনচার্জ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভক্ত চরণদাস জিকে ইম্ফলে পাঠানো হয়েছে। আজ সকালে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন। সেখানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়া দলের আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলবেন।’এখন অবশ্য ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না গোবিন্দাস কনথৌজাম–কে। তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ৬ বারের বিধায়ক। বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে রিপোর্ট মিলেছে। তার পর থেকেই কংগ্রেস ছাড়ার খবর চাউর হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হয়েছিল। এমনকী দু’জন বিধায়ক কেএইচ জয়কিষান এবং ইয়ামথম হাওকিক পদত্যাগ করতে পারে বলেও খবর। তাঁদেরকেও ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ২০১৭ সালে মণিপুরে একক বৃহত্তম দল হিসাবে ৬০টি আসনের মধ্যে ২৮টি আসন জিতে ক্ষমতা দখল করেছিল কংগ্রেস।