পাক কবি ফইজ আহমেদ ফইজের কবিতা ‘হাম দেখেঙ্গে...’ নিয়ে বিতর্ক আগাগোড়া হাস্যকর, মনে করেন গীতিকার জাভেদ আখতার। আইআইটি কানপুর ফইজের কবিতাটি হিন্দুত্ব-বিরোধী কি না, তা পরীক্ষা করে দেখ🔯বে বলার প🎶রে এই মন্তব্য করেন জাভেদ।
বৃহস্পতিবার জাভেদ🉐 বলেন, ‘ফইজের কবিতাকে হিন্দু-বিরোধী বলা একেবারেই অবান্তর অভিযোগ। বিষয়টি এতই হাস্যকর যে তা নিয়ে গুরুগম্ভীর আলোচনা꧑ করাও অসম্ভব।’
তিনি বলেন💎, ‘অবিভক্ত ভারতে প্রগতিবাদী সাহিত্যিকদের আন্দোলনে তিনি ছিলেন এক নক্ষত্র বিশেষ। ভারত স্বাধীন হলেও দেশভাগ হল। লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হল, লাখ লাখ মারা গেল। ফইজ দেশভাগের বেদনা সম্পর্কে লিখলেন, সে দেশে থাকতে পারবেন না বলে জীবনের অর্ধেক অংশ পাকিস্তানের বাইরে কাটিয়ে দিলেন। জিয়া-উল-হকের মৌলবাদী ও অপ্রগতিশীল শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তিনি এই কবিতা লেখেন।’
ফইজের ‘হাম দেখেঙ্গে’ কবিতার একটি পংক্তি ব্যাখ্যা করে জাভেদ বলেন, ‘গুঞ্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚজেগা আন—আল-হক কা নারা- লাইনটির আসল অর্থ হল অহম ব্রহ্ম, যার মানে স্রষ্টা ও সৃষ্টি অবিচ্ছেদ্য। এ তো ই♊সলামিক ভাবনা নয়।’
উল্লেখ্য, ফইজের কবিতার দুটি লাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন আইআইটি কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। তাঁ𝓡র অভিযোগ, সব তখত গিরায়ে জায়েঙ্গে, বস নাম রহেগা আল্লাহ কা, হম দেখেঙ্গে... কথাগুলি হিন্দুত্ব-বিরোধী। ১৯৭৯ সালে জিয়া-উল-হক সরকারের বিরুদ্ধে এই কবিতা লেখেন ফইজ আহমেদ ফইজ। নাস্তিক হিসেবে পরিচিত এ🦋ই পাকিস্তানি কবিকে জেলও খাটতে হয় এক সময়।
গত ১৭ ডিসেম্বর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের 🉐বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটেন আইআইটি কানপুরের পড়ুয়ারা। মিছিলে তাঁরা ফইজের লেখা কবিতাটি স্লোগ🍸ান হিসেবে ব্যবহার করেন। ওই শিক্ষকের মতে, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রতি সৌভ্রাতৃত্ব দেখাতেই এই ‘হিন্দুত্ব-বিরোধী’ কবিতা বেছে নেওয়া হয়।
শিক্ষকের অভিযোগ যথাযথ কি না, তা জানতে কবিতাটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে আইআইটি-কানপুর প্যানেল। 🎃পাশাপাশি, পড়ুয়ারা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করেছিলেন কি না, তা-ও যাচাই করে দেখবে এই প্যানেল।