করমণ্ডল এক্সপ্রেস দ✃ুর্ঘটনায়। মৃত্যুমিছিল। তা꧟র মধ্য়েও বেঁচে ফিরলেন যাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতা একেবারে শিউরে ওঠার মতো।
সেই অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের এ ২ কোচের যাত্রী ছিলেন হুগলির উত্তরপাড়ার ধানকল গলির বাসিন্দা দম্পতি দেবাশিস দত্ত ও বনশ্রী দত্ত। দেবাশিসবাবু নিজেও প্রাক্তন রেলকর্🥂মী। চেন্নাইতে কর্মরত ছেলের কাছে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
দেবাশিস দত্ত বলেন, কপাল জোড়ে বেঁচেছি। পেছন দিক থেকে তৃতীয় বগিতে ছিলাম আম🐷রা। কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছি। এ২ বার্থে ছিলাম। ৬টা ৫৫ থেকে ৭টার মধ্য়ে হয়েছে। বালাশোরের পরে ঘটনাটা হয়েছে। আচমকা প্রচন্ড আওয়াজ। তার সঙ্গে আগুনের ফুলকি। চাকাটা পুরো স্লিপারের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। অন্ধকার হয়ে গেল কামরাটা। নিজেরাই নেমেছিলাম। তবে প্রথমেই দেখলাম ট্র্যাক থেকে গাড়িটা নেমে পড়েছেꦅ কিনা। পৌনে ১ কিমি মতো রাস্তা অন্ধকারে হেঁটে এলাম। এরপর একটা বাস পেলাম। সেটা বাবুঘাট পর্যন্ত এল।
বনশ্রী দত্ত বলেন, বলে🌜 বোঝাতে পারব না। সাংঘাতিক ভয়াবহ অবস্থা। বলতে পারছি না। দুঃস্বপ্নের মতো। আগুন বের হচ্ছে। সাংঘাতিক ঝাঁকুনি আর সঙ্গে আওয়াজ। হঠাৎ করে দেখলাম চলতে চলতে ঝাঁকুনি শুরু হয়ে গেল। সকলে চিৎকার করছে। প্রচন্ড কাঁপছে ট্রেনটা। বাইরে দেখলাম আগুনের ফুলকি ছেটাতে ছেটাতে ট্রেনটা ছুটছে। বাইরে নেমে দেখলাম কয়েকটি মোবাইলের আলো। ওরা খুব হেল্প করল। নয়ানজুলিতে পড়ে গিয়েছিল একটা কামরা। কয়েকটা বাদ দিয়ে সব বগির যা তা অবস্থা। কিচ্ছু দেখতে পারছি না। পরে উদ্ধারকারী টিম এল। অ্য়াম্বুল্যান্স এল। সব শেষ হয়ে গেল। লাইনটা উঠে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। স✱্থানীয় মানুষরা জল দিলেন। বাসে বসার পরে আর কিছু মাথায় ছিল না।
অপর এক যাত্রী টেলিভিশন চ্যানেলে জানিয়েছেন, নেমে পড়ার পরে দেখলাম, একজনের কপাল দি💦য়ে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। রুমালটা দিলাম। ভিজে গেল। আমি দেখলাম আমি তো বেঁচে আছি। অ🔯ন্য়দের বাঁচাতে হবে। নামিয়ে এনে শুইয়ে দিলাম একজনকে। হাত ভেঙে গিয়েছে পরে বুঝলাম। কিন্তু তার আগে বাঁচিয়েছি ওদের।
অপর এক মহিলা যাত্রী বলেন, জানেন চোখ বুজলে বার বার মনে হচ্ছে সেই ভয়াবহ শব🧜্দটা। কপালটা ফেটে গেল। হাত দিয়ে দেখলাম ভেসে যাচ্ছে রক্তে। সেই অবস্থাতেও নেমে এসেছি। বিদ্যুৎ চমকানোর মতো আলো দেখা যাচ্ছিল।
অপর এক মহিলা যাত্রী জানিয়ে𒐪ছেন, মনে হচ্ছিল আগুন ধরে যাবে। পরে বুঝতে পারলাম বেঁচে গিয়েছি। বাচ্চাকে হাতে পেল🉐াম অনেক পরে।