কীভাবে এরকম ভয়াবহ দুর্ঘটনার♐ মুখে পড়ল করমণ্ডল এক্সপ্রেস? তা খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিশেষত সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনাꦬর পর যখন রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেইসময় রেলমন্ত্রী বলেছেন, ‘কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি আমি। মূল কারণ খুঁজে বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে ১২৮৪১ আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ত🤪রফে জানানো হয়েছে, অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের 'বি২', 'বি৩', 'বি৪', 'বি৫', 'বি৬', 'বি৭', 'বি৮', 'বি৯', 'এ১' এবং 'এ২' কোচ উলটে গিয়েছে। লাইন থেকে ছিটকে পেরিয়ে গিয়েছে 'বি১' এবং ইঞ্জিন। তার জেরে ১২৮৬৪ SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কয়েকটি কোচও লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় রেলওয়ের মুখপাত্র অমিতা♉ভ শর্মা জানিয়েছেন যে প্রথমে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই সুপারফাস্ট ট্রেনের কয়েকটি বগি ছিটকে গিয়ে অন্য লাইনে পড়ে। তারপরই সেই অন্য লাইন দিয়ে আসছিল ডাউন SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোচে ধাক্কা মেরে SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কয়েকটি কোচ লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
যদিও প্রাথমিকভাবে দাবি করা হচ্ছিল যে মা𓆉লগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। রেলের তরফে সেই সংঘর্ষের বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী রেলের তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মালগাড়ি নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করা হয়নি। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার রাতের দিকে ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপকুমার জেনা জানিয়েছেন যে মোট তিনটি ট্রেনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। করমণ্ডলের লাইনচ্যুত কোচের জেরে মালগাড়িও দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে বলে একাধিক মহলকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে পিটিআই।
দুর্ঘটনার সেই বয়ান নিয়ে ধন্দ থাকলেও পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৫০ জনের বেশি। ওড়িশার মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, আহতের সংখ্যা ৬০০-র কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫৫-৬০ জনের। আবার ওড়িশার দমকল বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল সুধাংশু সারঙ্গী বলেছেন, '১২০-র 🦄বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে।' যদিও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩০০ জন।