একেবারে গাদাগাদি ভিড় জেনারেল কম্পার্টমেন্টে। অনেকেই বাংলা থেকে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন। গরমে ক্লান্ত মানুষগুলো চেষ্টা করছিলেন একটু বসার জায়গা পাওয়ার জন্য। বালেশ্বরের কাছে আচমকাই বিকট শব্দ। তারপর আর কিছু মনে নেই। চ🅠ারপাশে কে কোথায় ছিটকে গেল বুঝতে পারলাম না। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের অভিশপ্ত কামরাগুলি 💯থেকে বেঁচে ফিরেছেন যাঁরা তাদের মোটামুটি অভিজ্ঞতাটা এমনই।
বাংলার এক রেলযাত্রী বলেন, জেনারেল কম্পার্টমেন্টে ছিলাম। আমার সঙ্গীও ছিল সঙ্গে। জানলার দিকে পেছন ফিরে বসেছিলাম। এমন সময় বিকট শব্দ। জানালা দিকে ছিটকে পড়লাম। তারপর আর কিছু নে﷽ই। আপনার সঙ্গী কোথায়? প্রশ্ন করতেই ডুকরে কেঁদে ফেললেন ও💫ই যাত্রী।
অপর এক ব্যক্তি দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই কাকে যেন খুঁজছিলেন। একের পর এক জখম ব্যক্তিকে বের করে আনা হচ্ছে। তাদের আহত মুখের দিকে তাকিয়ে꧋ রয়েছেন ওই বেঁচে ফেরা মানুষেরা। কাকে খুঁজছেন ? প্রশ্ন করতেই দুচোখ বেয়ে জলে ধার꧙া। ফ্য়াল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন ওই ব্যক্তি। বলেন, আমার ভাইকে দেখেছেন? কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না।
এভাবেই একের পর এক যাত্রী হারিয়ে ফেলেছেন তাঁদের প্রিয়জনকে। মা হারিয়েছেন সন্তানকে। দাদা হারিয়েছেন ভাইকে। সব যেন কেড়ে নিল অভিশপ্ত ট্রেন। অনেকে আবার ফিরে পেয়েছেন প্রিয়জনকে। এই যেমন পারভেজকে ফিরে পেয়েছেন তাঁর দাদা। বিহারের বাসিন্দা। শালিমার থেকে ট্রেনে চেপেছিলেন। কিন্তু ভাইকে ফিরে পেলেও 🐎গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে বের করতে হয়েছে তাকে। পা বাদ যেতে পারে তাঁর। চারপাশে শুধুই শূন্যতা গ্রাস করছে পরিবারকে।
মালদা, দক্ষিণ ২৪ প🎶রগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা থেকে বহু মানুষ ট্রেনে চেপে যাচ্ছিলেন ভিনরাজ্য়ে। কেউ কাজ করতে যাচ্ছিলেন। কেউ আবার চিকিৎসার জন্য। রেল দুর্ঘটনা পথেই নামিয়ে আღনল ভয়াবহ বিপর্যয়।