শুক্রবার করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হল পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে💞র তবলিঘি জামাত প্রধানের। তবে এখনও সমাবেশের সব অংশগ্রহণকারীর খোঁজ মেলেনি বলে জানাল ইমরান খান প্রশাসন।
করোনা সংক্রমণের জেরে পাকিস্তানে প্রকাশ্য ধর্মীয় সমাবেশের অনুমোদন দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত সরকার। আসন্ন রমজান মাসে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কোনও সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে 🍒এই নিয়ে জটিলতা আরও বেড়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী জাফর মির্জা চান, সমবেত নামাজ পড়ার উপরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকুক। অন্য দিকে, আর এক হেভিওয়েট মন্ত্রী শেখ রশিদ সংবাদমাধ্যমে সরাসরি জানিয়েছেন, তিনি এই নিষেধাজ্ঞ🍒া চাপান🦋োর বিষয়টি সমর্থন করেন না। আবার বিজ্ঞানমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর দাবি, পাকিস্তানে করোনাভাইরাস ছড়ানোর প্রধান দায় তবলিঘি জামাত সদস্যদের।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধে এই মতান্তরের ফাঁক গলে পাকিস্তানে ক্রমেই বেড়ে চলেছে Covid-19 এর প্রকোপ। চলতি সপ্তাহে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭,৬০০ এরও বেশি। সংꦰক্রমণে মারা গিয়েছেন প্রায় ১৫০ জন। বিশেষজ্ঞ𒐪রা সতর্ক করেছেন, কিছু দিনের মধ্যে দ্রুত হারে বাড়তে শুরু করবে এই সংখ্যা।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মার্চ মাসে লাহোর শহরতলিতে বাৎসরিক রাইউইন্দ ইজতেমা সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় লাখখানেক তবলিঘি জামাত সদস্য। তবে ꦿজামাতের নিজস্ব হিসেব বলছে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিসলেন ২ লাখের বেশি মানুষ।
সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে বিশ্বের নানান দেশ থেকে এসেছিলেন প্রায় ৩,০০০ বিদেশি অতিথি। এঁদের মধ্যে ছিলেন চিন, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া ও আফগানিস্তানের বেশ কিছু নাগরিক। তাঁদের মধ্য💫ে অর্ধেকই এখন পাকিস্তানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। কিন্তু বাকিরা পরীক্ষা না করিয়েই পাকিস্তান ছেড়েছেন।
✤সম্প্র꧙তি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, প্যালেস্তাইনের প্রথম দুই করোনা আক্রান্ত পাকিস্তানের ওই জামাত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
﷽জানা গিয়েছে, লাহোরে আপাতত কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন প্রায় ৭,০০০ জামাত সদস্য। তাঁদের সুবাদে পঞ্জাবে আপাতত কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১০,২৬৩ জন জামꦍাত সদস্য, যাঁদের মধ্যে ৫৩৯ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে। রাইউইন্দে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন প্রায় ৬০০ এবং সিন্ধ প্রদেশে প্রায় ৮,০০০ তবলিঘি জামাত সদস্য।
প্রশ্ন উঠেছে, কী কারণে করোনা সংক্রমণের মাঝে জামাতের সমাবেশকে অনুমোদন দিয়েছিল পাক সরকার। ঘটনা হল, পাক সেনাবাহিনী ও প্রশাসনে জাম🐟াতের বিশাল প্রভাব। সেনাবাহিনীর বহু বর্তমান ও প্রাক্তন অফিসার সক্রিয় জামাত সদস্য। স্বাভাবিক কারণেই তবলিঘি জামাতকে চটানোর সাহস নেই ইমরান খান সরকারের।
শোনা যায়, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে জামাত প্রধান তারিক জামিলের গুর🅠ু-শিষ্য সম্পর্ক। ধর্মীয় কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে তাঁর সঙ্গেই পরামর্শ করেন ইমরান। সেই জামিল গত মার্চ মাসের এক সমাবেশে ভাষণ দেন, ‘আল্লাহই সিদ্ধান্ত নেন কার দেহে সংক্রমণ হবে, আর কার হবে না এবং তিনিই আমাদের রক্ষা করবেন।’
তবে এর পরে ১ এপ্রিলౠের ভাষণে নিজের মত বদলে করোনাভাইরাসকে ‘মারাত্মক’ বলেন জামিল। তবে তা সত্ত্বেও সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে ধর্মীয় সমা❀বেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিপন্থী এই ধর্মীয় নেতা ও তাঁর অনুগামীরা। আর তার জেরেই পাকিস্তানে মৃত্যুর নজির গড়তে চলেছে মহামারী।