চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দৈনন্দিন জীবনে মাস্ক ব্যবহার করে জীবাণু সংক্রমণ এড়ানো বেশ কঠিন। তাঁদের মতে, মুখের ছিদ্র আটকাতে বাজারে যুতসই মাস্ক পাওয়া কঠিন। বেশিরভাগ মাস্কই নাক ও মুখগহ্বর পুরোপুরি ঢাকতে পারে না।চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দৈনন্দিন জীবনে মাস্ক ব্যবহার করে জীবাণু সংক্রমণ এড়ানো বেশ কঠিন। তাঁদের মতে, মুখের ছিদ্র আটকাতে বাজারে যুতসই মাস্ক পাওয়া কঠিন। বেশিরভাগ মাস্কই নাক ও মুখগহ্বর পুরোপুরি ঢাকতে পারে না।চিকিৎসকদের মতে, হাঁচি, কাশি অথবা কথা বলতে গিয়ে সংক্রামিত ব্যক্তির শরীর থেকে বের হওয়া জীবাণু বাতাসে ভেসে এলে মাস্ক তা রোধ করে। এই তালিকায় রয়েছে যে কোনও ধরনের ফ্লু, হুপিং কাশি এবং কয়েক ধরনের ম্যানেঞ্জাইটিসের জীবাণু। এ ক্ষেত্রে যিনি জীবাণু বহনকারী এবং যাঁরা তাঁর সামনে রয়েছেন, সবারই মাস্ক পরা আবশ্যক।চিকিৎসকদের মতে, Covid-19 আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থাকলে N95 রেস্পিরেটর মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি। এই ধরনের মাস্কে বিশেষ এয়ার ফিল্টার থাকে, যা বাতাসে ভেসে বেড়ানো অতিক্ষুদ্র জীবাণু রুখতে সক্ষম। গোলাকৃতি এই মাস্ক মুখে ঠিকঠাক ফিট করেল বলেও জানা গিয়েছে।করোনাভাইরাস সংক্রমণের সমস্ত তথ্য এখনও বিজ্ঞানীদের হাতে এসে পৌঁছয়নি বলে এই বিষয়ে এখনও বেশ অনিশ্চয়তা রয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, মাস্কের উপরে বেশি ভরসা না রেখে নিয়মিত সাবান-জলে হাত ধোওয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত পরিষ্কার রাখা, না ধোওয়া হাতে চোখ-মুখ-নাক স্পর্শ না করা বেশি জরুরি।একই সঙ্গে, ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সান্নিধ্য এড়িয়ে চলা, সম্ভব হলে বাড়ির ভিতরে থাকা এবং সংক্রমণের কোনও আভাস পেলেই হাসপাতালে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়া যেমন অর্থহীন, তেমনই অতিরিক্ত উদাসীনতাও বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।