চিকিৎসকদের সুরক্ষা ও সম্মানের সঙ্গে কোনওরকম আপস করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিলᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার কিছুক্ষণ পরই স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা রুখতে আরও কড়া দাওয়াইয়ের বন্দোবস্ত করল কেন্দ্র। আনা হল একটি অধ্যাদেশ।
আরও পড়ুন : ফেসবুক-জিও গাঁটছড়া- কীভাবে উপকৃত হবেন আপনি?
দেশজুড়ে স্বাস্থ্যকর্মীদেরꦫ উপর হামলার ঘটনা রুখতে কড়া আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সোমবার আইএএম-এর তরফে জানানো হয়, হামলা রুখতে কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়ন করা না হলে আগামী বৃহস্পতিবার কালা দিবস পালন করা হবে। তারপর বুধবার সকালে চিকিৎসক ও ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে করেন শাহ। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান-সহ অন্যান্যরা🧸। সেখানে চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করেন শাহ। চিকিৎসকদের কাজের প্রশংসাও করেন তিনি।
আরও পড়ুন : ১৫০০ করোনা রোগী, ৭৬ জনেღর মৃত্যুﷺর পর অবশেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পেল মধ্যপ্রদেশ
পরে একটি টুইট♈বার্তায় শাহ বলেন, 'চিকিৎসকদের সুরক্ষা ও সম্মানের সঙ্গে কোনওরকম আপস করা হবে না। তাঁদের কাজের জন্য সবসময় উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমি চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করেছি যে মোদী সরকার তাঁদের (সুরক্ষায়) প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ও তাঁদের প্রস্তাবিত প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছি।'
আরও পড়ুন : গরীবরা না খেতে পেয়ে মরছে, সরকার চাল দিয়ে ℱস্যওানিটাইজার বানাচ্ছে- রাহুল গান্ধী
শাহের আশ্বাসের পর নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে আইএমএ। জানানো হয়, প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। তার কিছুক্ষণ পরই অধ্যাদেশ নিয়ে আসে কেন্দ্র। সা🌼ংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে বুুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা রুখতে ১৮৯৭ সালের মহামারী আইনে (এপিডেমিক ডিজিজ অ্যাক্ট) পরিবর্তন করে একটি অধ্যাদেশ আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাভড়েকর বলেন, 'স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর কোনও হিংসা বা তাঁদের হেনস্থার ঘটনা আর বরদাস্ত করা হবে না।'
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: খোলা যাবে বই-পাখার দোকান, আর কোন কোন ক্ষেত্♛রকে লকডাউন থেকে ছাড় দিল কেন্দ্র?
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, দোষী প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন তিন মাস থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল হতে পারে। সঙ্গে হামলার মাত্রা বিচার করে ৫০,০০০ টাকা থেকে দু'লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা হতে পারღে। জাভড়েকর বলেন, 'যদি গুরুতর হামলা হয়, গুরুতর চোট লাগে, তাহলে ছ'মাস থেকে সাত বছরের জেলের বিধান আছে। এরকম ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা হবে। কড়া সাজার পাশাপাশি জরিমানাও বেশি দিতে হবে। অর্থাৎ বার্তা পরিষ্কার, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না।'
নয়া অধ্যাদেশে আরও একটি বিশেষ নিয়ম রয়েছে বলে জানান জাভড়েকর। সেই নিয়ম অনুযায়ী, হামলায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের গাড়ি বা ক্লিনিক ক্ষতিগ্ꦕরস্ত হলে বাজারদর অনুযায়ী যত টাক♍া ক্ষতি হয়েছে, তার দ্বিগুণ অর্থ হামলাকারীদের দিতে হবে। দ্রুত তদন্ত শেষেরও বিধান রয়েছে। একইসঙ্গে চিকিৎসকদের দাবি মেনে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের বিধান রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'এরকম হামলা হলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হবে। ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত পুরো হবে। সিনিয়র ইন্সপেক্টর পর্যায়ের একজন অফিসার তদন্ত করবেন। এক বছরের মধ্যে শাস্তি হবে।'