পথের যে কোনও বাধা পেরোতে মানু্ষের ‘ইচ্ছাশক্তি’ আর ‘নিষ্ঠাই’ যে অস্ত্র, তা প্রমাণ করলেন এক করোনাভাইরাস রোগী! তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তির সামনে হার মানল করোনাও। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হলেও তাঁকে দমাতে পারেনি মারণ ভাইরাস। হাসপাতালের শয্যায় বসেই এক করোনা আক্রান্ত ছাত্রকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে দেখে অবাত হয়ে যান অনেকেই। সেই ছবি ভাইরাল হতে ‘ন্যানো সেকেন্ডও’ ল🌠াগেনি। বুধবারে ওই আধিকারিকের পোস্ট করা ছবি ৩২.৯ হাজার লাইক পড়ে আর তাতে ৪,৫০০ রিটুইট করেন নেটিজেনরা।
অনেক নেটিজেন করোনা হাসপাতালে পড়াশুনা করার বিষয় নিয়ে ওই ছাত্রের নিষ্ঠার প্রশংসা যেমন করেছেন, তেমনই অনেকে কটাক্ষ করে বলেছেন, 🍬‘ এত বিষাক্ত উৎপাদনশীলতায়’ গর্ব করা উচিত নয়।
২০১৩ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার বিজয় কুলাঙ্গে। এখন তিনি ওড়িশার গঞ্জনের জেলাশাসক।এদিন তিনি একটি করোনা হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে এক রোগীকে খাতা—বই, ক্যালকুলেটার নিয়ে পড়াশুনা করতে দেখেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি জানতে পারেন ওই ছাত্রের সামনে সিএ ꧋পরীক্ষা রয়েছে। তাই তিনি হাসপাতালের শয্যায় বসেই পড়াশুনা সেরে নিচ্ছেন।
ওই ছাত্রের ছবি তিনি নিজের টুইটারে শেয়ার করে লেখেন, ‘ সাফল্য কাকতালীয় নয়, তবে নিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘তোমার এই নিষ্ঠাই, তোমার ব্যাথা ভুলিয়ে দেবে।’ আর সাফল্য তো শুধুমাত্র একটি আন✤ুষ্ঠানিকতা।’
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির জন্য মঙ্গলবার আইসিএআই সিএর ফাইনাল ও ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়ে ২২ মে ধার্য করেছে। আর এ—ও জানিয়ে দিয়েছে যে, সিএ—র ফাইনাল পরীক্ষা🐈 ২১ মে হবে। তবে সমস্ত কিছু নির্ভর করবে তখনকার পরিস্থিতির উপর। তারপরই বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার ২৫ দিন আগে নোটিস জারি করে নতুন তারিখ ঘোষণা🧸 করা হবে।