টিকা পেলেই কি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি ঘটবে? এমনটা মোটেও নয় বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। বরং কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ডোজের ১৪ দিন পর থেকে শুরু হবে টিকার কার্যকারিতা। মেনে চলতে হবে করোনার সুরক্ষা বিধি।সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানান, টিকা পাওয়ার ১৪ দিন থেকে কার্যকারিতা পরিলক্ষিত হবে। তাই বেপরোয়া না হয়ে টিকা পাওয়ার পরও যাবতীয় করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে চলার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। আগামী শনিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে ভারতে শুরু হবে করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া। প্রথম দফায় প্রথমসারির করোনা যোদ্ধারা টিকা পাবেন। তাঁদের মধ্যে আছেন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী, পুলিশ, সুরক্ষা বাহিনী, অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান-সহ অন্যান্য প্রথমসারির করোনা যোদ্ধারা। দ্বিতীয় পর্যায়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং ৫০-এর কম বয়সি কো-মর্বিডিটি রোগীকে টিকা দেওয়া হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশের ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র।সেই টিকাকরণ প্রক্রিয়ার জন্য ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দেশের ১৩ টি জায়গায় কোভিশিল্ড পাঠায় সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)। বুধবার থেকে কোভ্যাক্সিন পাঠানো শুরু করেছে ভারত বায়োটেকও। কেন্দ্রের দাবি, সুরক্ষা এবং অনাক্রম্যতা সংক্রান্ত প্রমাণ পাওয়ার পর দুটি টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভিকে পাল জানান, অনুমোদনপ্রান্ত দুটি করোনা টিকা যে পুরোপুরি সুরক্ষিত, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। তিনি বলেন, ‘এই দুটি টিকা অন্যতম সুরক্ষিত টিকা। হাজার-হাজার মানুষের উপর টিকাদুটি পরীক্ষা করা হয়েছে।’ একইসঙ্গে যোগ করেন, দুই টিকারই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া একেবারে কম।