সরকারিভাবে নিসর্গকে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘোষণা করল মৌসম ভবন। তা🍷✨দের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
মৌসম ভবনের 🧸ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, ‘আজ দুপুর নাগাদ আরব সাগরের অতি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্💖ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এখন এটিকে সরকারিভাবে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ হিসেবে ঘোষণা করা হল।’
সেই ঘোষণার কিছুক্ষণ পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, নিসর্গ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তিনি। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘পশ্চিম উপকূলের কয়েকটি অংশে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করেছি। প্রত্যেক সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছি। মানুষকে যতটা সম্ভব সতর্🏅কতা এবং সুরক্ষা অবলম্বনের আর্জি জানাছি।’
এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত (মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটের সময়) মুম্বইয়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৪৩০ কিলোমিটার, পানজিমের দক্ষিণ-পশ্চিমে ২৮০ কিলোমিটার এবং সুরাতের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৬৪০ কিলোমিটার দূরে আছে নিসর্গ🙈। আগামী বুধবার বিকেল নাগাদ প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে মুম্বই থেকে ৯৪ কিলোমিটার দূরে রায়গড় জেলার আলিবাগের কাছে আছড়ে পড়বে নিসর্গ। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ 💝থেকে ১১০ কিলোমিটার। তা সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারেও পৌঁছে যেতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, নিসর্গ স্থলভূমিতে প্রবেশ করার সময় জোয়ারের থেকেও ১-২ মিটার বেশি জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। তার জেরে মুম্বই, থানে এবং রায়গড় জেলার নীচু এলাকাগুলি জলের তলায় চলে যাবে। জোয়ারের থেকে ০.৫-১ মিটার বেশি উঁচু ঢেউয়ের কারণে রত্নাগিরি জেলায় একই পরিস্থিতি হবে। একইসঙ্গে মুম্বই🥃, থানে, রায়গড়, সিন্ধুদুর্গ, পালঘরের বিভিন্ন অংশ অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
সেজন্য ইতিমধ্যে মুম্বইবাসীদের সতর্ক করে অ্যাডভাইসরি জারি করেছে বৃহন্মুম্বই পুরনিগম (বিএমসি)। সমুদ্রের কাছাকাছি যেতে বারণ করার পাশাপাশি ঝড়ের সময় গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির তলায় দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। শহরবাসীকে নিজেদের সামর্থ্য মতো প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন পুর কমিশনার ইকবাল চাহাল। একইসঙ্গে মান🀅ুষকে বাড়ি থেকে না বেরনোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।