নামকরণ করেছে বাংলাদেশে। সেই নিসর্গ বুধবার দুপুর ১ টা থেকে বিকেল ৪ টের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে মহারাষ্ট্রের আলিবাগের দক্ষিণে আছড়ে পড়তে চলেছে।কীভাবে সেই নামকরণ হয় ঘূর্ণিঝড়ের?আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, যে মহাসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকার দেশগুলি সেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। একবিংশ শতাব্দীর গোড়ায় এই পদ্ধতি শুরু হয়। সেইমতো বিশ্বে ১১ টি প্রতিষ্ঠান ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে।এরইমধ্যে ২০০০ সালে ওমানের মাসকটে ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড পেসিফিকের (WMO/ESCAP) ২৭ তম বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল। বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে উৎপত্তি হওয়া সব ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করতে সেই বৈঠকে রাজি হয়েছিল সংগঠনটি।সেইমতো ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়েছিল। সেই সময় আটটি দেশ নামের পরামর্শ দিত। পরবর্তী সময়ে সেই সংগঠনে আরও পাঁচটি দেশ যোগ দেয়। আপাতত ওই সংগঠনের দেশগুলি হল - বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মায়ানমর, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইয়েমেন।বর্তমান ঘূর্ণিঝড়ের তালিকায় প্রথম নাম রয়েছে নিসর্গের। আগের তালিকায় শেষ নাম ছিল আমফানের এবং ওই অঞ্চলে বছরের প্রথম ঝড়ের নামকরণ হওয়ার কথা ছিল আমফান। ২০০৪ সালে আমফানের নাম দিয়েছিল থাইল্যান্ড। অন্যদিকে নিসর্গের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ।নিসর্গের পর নতুন তালিকা থেকে আরও কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ হবে। তার প্রথমেই রয়েছে গতি। সেটির নামকরণ করেছে ভারত। তারপর রয়েছে নিভার। যেটির নাম দিয়েছে ইরান।