প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা এবং চট্টগ্রামে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট ১৯ জেলায় ৩৭ 🐼লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে খবর। তার মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৫ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এই খবর জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ মহিববুর রহমান। আজ, সোমবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে এবং জলোচ্ছ্বাসে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে তাদের অবিলম্বে সহায়তা করা হবে।
এদিকে প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে খুলনায় একজন, সাতক্ষীরায় একজন, বরিশালে তিনজন, পটুয়াখালীতে একজন, ভোলায় তিনজন এবং চট্টগ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরবাড়ি, গাছ ও দেওয়াল চাপা এবং জলে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর 𓆉১টা পর্যন্ত দেশের ছয় জেলায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঝড়ে মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল থেকে শুরু করে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং যশোর–সহ অন্যান্য জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়💎েছে।
আরও পড়ুন: ‘সিপিএম🌟ের কোনও অফিসার🅰 এটা করেছেন’, না জানিয়ে নোটিশ পাঠানো নিয়ে তোপ মমতার
অন্যদিকে রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন। সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি এবং আংশিকভাবে ক্ষতি হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি। ৯ হাজার ৪২৪টি রিলিফ ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে 🍃আট লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে। মোট এক হাজার ৪৭১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। সরাসরি টাকাও দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। রবিবার এবং সোমবার পর পর ধাক্কা দেয় রেমাল ঘূর্ণিঝড়। তাতেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে খবর।