প্রকাশ্যে অভব্য আচরণ এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গালিগালাজের অভিযোগে দলিত চিকিৎসককে রাস্তায় ফেলে পেটালো বিশাখাপত্তনম পুলিশ। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের আলোড়ন শুরু করল।শনিবার পুলিশের হাতে নরসিপটনমের সরকারি হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিস্ট কে সুধাকরের হেনস্থা হওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, খালি গায়ে মাথা ন্যাড়া করা চিকিৎসককে প্রধান সড়কের উপর হাত বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এক সময় তিনি পড়ে গেলে রাস্তার উপর দিয়ে চিকিৎসককে ছেঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট পরিমাণে পিপিই কিট সরবরাহ না করার অভিযোগ জানালে শৃঙখলাভঙ্গের দায়ে গত এপ্রিল মাসে সুধাকরকে সাসপেন্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, সুধাকরের হাত পিছমোড়া করে বেঁধে এক পুলিশ কনস্টেবল বেধড়ক মারধর করছেন। তার পর তাঁকে জোর করে অটোরিকশায় চাপিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধী তেলেগু দেশম পার্টি, সিপিআই ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। পরে পুলিশ কমিশনার আর কে মীনা জানান, চিকিৎককে মারধর করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সুধাকর মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং পুলিশকর্মীর সহ্গে অত্যন্ত রূঢ় ব্যবহার করেন। ওই কনস্টেবলের হাত থেকে তিনি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।’টিডিপি পলিটব্যুরো সদস্য বরলা রামাইয়া অভিযোগ করেছেন, ‘সরকারের সমালোচনা করায় ওই দলিত চিকিৎসকের প্রতি অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। ঘটনা চাউর হওয়ার পরে এখন শাসকদল ও পুলিশ তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে চালানোর চেষ্টা করছে।’প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সংবাদমাধ্যমের সামনে সুধাকর অভিযোগ করেন যে, রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের যথেষ্ট পরিমাণে এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই কিট সরবরাহ করছে না। পরিবর্তে সেগুলি রাজনৈতিক নেতাদের দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা।