উত্তর হিমালয়ের কোলে ১১ হাজার ৫৬২ ফুট উচ্চতার থাকা লেহর ছোট্ট শহর। একেবারে চিন সীমান্তের কাছে ছবির মতো সুন্দর এই ছোট্ট শহর। লাদাখ রিজিয়নে এই অঞ্চল বেশিরভাগ সময়ই তুষারে ঢাকা। অত্য়ন্ত দুর্গম এই এলাকা। সেই দুর্♌গমতার বাধা টপকে এবার সেখানকার ৬০টি গ্রামে ২৪ ঘণ্টার পানীয় জলের ব্যবস্থা করল সরকার। সরকারি ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদাররা জল জীবন মিশনের আওতায় সেখানে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছনর ব্যবস্থা করেছে।
এদিকে সরকারি সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দ༒েওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এদিকে ২০১৪ সালের ইউএন ওয়াটার রিপোর্ট অনুসারে বলা হয়েছিল, দেশের প্রায় ১২০ মিলিয়ন বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল ঠিকঠাক পৌঁছয় না।এদিকে ১০ই নভেম্বরের পরিসংখ্যান বলছে প্রায় ৮৪.৭ মিলিয়ন বাড়িতে ই𒆙তিমধ্যে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। গ্রামীন জনসংখ্যার প্রায় ৪৪ শতাংশ বাসিন্দার বাড়িতে এই পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এদিকে বিজ্ঞানী সুবিথা লক্ষ্মীনারায়ণ ও রামকৃষ্ণান জয়লক্ষ্মীর গবেষণায় দেখা গিয়েছে দেশে ডায়েরিয়া, শিশু মৃত্যুর অন্য়তম কারণ হল বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব। এবার সেই পরিশ্রুত জল লেহ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নেয় সরকার। সেখানকার দুর্ไগম এলাকা এই পাইপলাইন পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায় ছিল। সেই লেহর প্রত্যন্ত গ্রাম ডিপলিংয়ের পানীয় জলের পাইপ লাইন পৌঁছে দেওয়া ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সেই পরীক্ষাতেও উতরে গিয়েছে দেশ। জলশক্তি মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব ভারত লাল বলেন, আকাশপথেও ইঞ্জিনিয়ার, শ্রমিকদের পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে কিছুক্ষেত্রে প্রকল্প চালু রাখার জন্য সোলার ইউনিটও করা হয়েছে।