এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারের নাতি রোহিত পাওয়ার। শনিবার তিনি জানিয়েছেন, বারামতী অ্য়াগ্রো লিমিটেড সংক্রান্ত ব্যাাপারে ইডির তল্লাশিতে তিনি একেবারেই ভীত নন। শুক্রবার ইডি একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায়। এদিকে রোহিত বিদেশে ছিলেন। শনিবার সকালে তিনি ফিরে আসেন দেশে। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের কাজ আমার উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি, আমার আদর্শকে কোনওভাবেই ত্যাগ করব না।সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, যদি আমি কোনও ভুল করে থাকি, আমি তবে আরও বেশ কিছুদিন বিদেশে কাটিয়ে আসতাম। কিন্তু আমি দেশে ফিরে এসেছি। কারণ আমি কোনও ভুল করিনি। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ইডি যদি ভেবে থাকে যে অভিযান করলেই আমি দল পরিবর্তন করব তবে তারা ভুল করছেন।উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশকেও তিনি একহাত নেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ জানেন যে এই ধরনের অভিযানের পেছনে ঠিক কী রয়েছে।উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, রোহিত এখনও বাচ্চাই রয়ে গিয়েছে। এখনও সে এত বড় হয়নি যে তার সম্পর্কে আমায় উত্তর দিতে হবে। আমার দলের কর্মীরাই এর উত্তর দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।শুক্রবার সকালে ইডির টিম বরামতী অ্য়াগ্রো লিমিটেডের অফিসে যায়। মহারাষ্ট্র স্টেট সমবায় কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে এই সংস্থার। অন্তত ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। পুনে, বরামতী,ঔরঙ্গাবাদ, অমরাবতী সহ নানা জায়গায় তল্লাশি চলে।এদিকে অজিত পাওয়ার হলেন ডেপুটি সিএম। আর সেই পরিবারের অন্তর্গত রোহিত পাওয়ার। তাঁর প্রতিষ্ঠানেই হানা দিল ইডি। ২০১৯ সালে মুম্বই পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইংসে যে অভিযোগ জমা পড়়েছিল তার ভিত্তিতেই এই তল্লাশি অভিযান চলে। মূলত চিনি কারখানা সংক্রান্ত ব্যাাপারে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই ইডির অভিযান হয়।এদিকে এই তল্লাশির কথা জানতে পেরেই বিদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন তিনি। এখানে এসেই তোপ দাগেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ইডি যদি ভেবে থাকে যে অভিযান করলেই আমি দল পরিবর্তন করব তবে তারা ভুল করছেন।