হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে বিতর্ক এবার গড়াল আদলত অবধি। এদিন দিল্লি হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয় যে হোয়াটসঅ্যাপ একটি প্রাইভেট অ্যাপ। তাদের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে কোনও আপত্তি থাকলে সেই অ্যাপটি ফোন থেকে ডিলিট করে দেওয়া যায় বলে জানিয়েছে আদালত। শুধু হোয়াটসঅ্যাপ নয়, সব অ্যাপই মানুষের থেকে তথ্য জোগাড় করে বলে মন্তব্য করেছে আদালত। এদিন চিরাগ রোহিল্লার পিটিশনের ভিত্তিতে কোনও নোটিসও জারি করেননি বিচারপতি সঞ্জীব সচদেব। হোয়াটসঅ্যাপের নয়া পলিসির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকেছেন রোহিল্লা। ফের ২৫ তারিখ এই মামলার শুনানি হবে। এদিন শুদিন চলাকালীন বিচারপতি বলেন চাইলে আবেদনকারী অন্য অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। কি কি তথ্য ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ার করা হবে সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি। তখন আবেদনকারীর আইনজীবী দাবি করেন যে সব তথ্য জোগাড় করে, সেগুলির বিশ্লেষণ করে ফেসবুককে জানানো হবে। তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। এই নিয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে জানান বিচারপতি। হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষে মুকুল রোহতাগি বলেন যে গত পাঁচ বছর ধরে পলিসিতে কোনও বদল হয়নি। শুধু বিজনেস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে চ্যাটগুলি নিয়ে পলিসি বদল হয়েছে। সমস্ত ব্যক্তিগত কথাপোকথন প্রাইভেট থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। পিটিশনকারীর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে সংবিধানে যে গোপনীয়তার অধিকার দিয়েছে সেটি ভঙ্গ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। আট ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই পলিসি মেনে নিতে বলেছে হোয়াটসঅ্যাপ বলে পিটিশনে বলা হয়। তবে এই সময়সীমা যে পিছিয়ে গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের তরফে তা জানানো হয়। চলতি মাসের ২৫ তারিখ ফের এই মামলার শুনানি।