কানাডিয়ান মিউজিয়া﷽ম অফ নেচার সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১২ সালে চিনের লিয়াওনিং প্রদেশে ডাইনোসরের একটি ফসিল পাওয়া যায়। পরীক্ষা করে দেখা গেছে এটি প্রায় ১২৫ মিলিয়🃏ন বছর আগের ফসিল, এমনই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
‘চিনের ডাইনোসর পম্পেই’ নামে পরিচিত একটি জীবাশ্ম অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে এই জীবাশ্মটি পাওয়া গিয়েছিল। এই অঞ্চলে আগ𓆏্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পরে মাটি ধসে যায় এবং ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে যাওয়া অঞ্চলে প্রাণী এবং ডাইনোসরের মৃত্যুর পরে তাদের জীবাশ্মই এত বছর পর পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কানাডিয়াꦰন মিউজিয়াম অফ নেচার খনিজবিদ ডক্টর অ্যারন লুসিয়ারের বিশ্লেষণের পর নিশ্চিত করেন প্রাপ্ত জীবাশ্মে আগ্নেয়গিরির বিভিন্ন উপাদানের অস্তিত্ব রয়েছে। কানাডিয়ান এবং চিনা বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানকারী টিমের অন্যতম ছিলেন লুসিয়ার। সায়েন্টিফিক রিপোর্ট জার্নালে লুসিয়ারের কলমের প্রকাশিত হয় গবেষণা সংক্রান্ত লেখাটি।
কানাডিয়ান মিউজিয়াম অফ নেচারের প্যালিওবায়োলজিস্ট ডঃ জর্ডান ম্যালন একটি বিবৃতিতে বলেন, জ🦹ীবাশ্মটি বিশদে পর্যবেক্ষণ করে মনে হচ্ছে, দুটি প্রাণীর মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধে হচ্ছে, এবং একটি প্রাণী অন্যটিকে জড়িয়ে আছে। দুটি♏ প্রাণীর মধ্যে একটি ডাইনোসর ও অন্যটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, জীবাশ্মটি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্তন্যপায়ী প্রাণীটি যেন আক্রমণ করছে ডাইনোসরকে।
জীবাশ্মের ডাইনোসরটি উদ্ভিদ-ভোজনকারী সিট্টাকোসৌরাস-এর একটি প্রজাতি হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এই প্রাজতির ডাইনোসর ক্রিটেসিয়াস যুগের শুরুর দিকে এশিয়ায় বসবাস করত। প্রায় ১০৫ থেকে ১২৫ মিলিয়ন বছর আগের সিট্টাকোসৌরাস প্রজাতির ধারাবাহিকতাতেই শিং-ওয়ালা ডাইনোসর প্রজাতির আবি✨র্ভাব হয়েছিল। এদ🌸ের একটি তোতাপাখির মত চঞ্চু ছিল।
স্তন্যপায়ী প্রাণীটিকে বিজ্ঞানীরা রেপেনোমামা🌱স রোবস্টাস নামে একটি ব্যাজার সদৃশ প্রাণী বলে চিহ্নিত করেছেন। সেই সময়কালে রেপেনোমামাস রোবস্টাস ছিল অন্যতম বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রাণী। এটির ছো🎉ট অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, একটি দীর্ঘ লেজ ছিল। বাঁকানো শরীর এবং কাটাযুক্ত দাঁত ছিল আক্রমণের হাতিয়ার।
এই দুটি প্রাণী যে একই সাথে একই সময়ে বসবাস করত, তা নতুন নয়। তবে এই আশ্চর্যজনক জীবাশ্মের মাধ্যমে প্র𒁃কাশ্যে এসেছে স্তন্যপায়ী ও ডাইনোসরের মধ্যে লড়াইয়ের বিষয়টি।
বিজ্ঞানীদের এই নতুন পর্যবেক্ষণ 🦄চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল আগের ধারণাকে। এ❀ই জীবাশ্মের উপস্থিতি ডাইনোসরদের আধিপত্যের ধারণাকে এক প্রকার অস্বীকার করে। ক্রিটেসিয়াস যুগে ডাইনোসররা সমকালীন স্তন্যপায়ীদের দ্বারাও আক্রান্ত হত, এই দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে নতুন গবেষণায়। গবেষণা দলটি অনুমান করেছে, চিনের জীবাশ্মটি থেকে প্রাপ্ত তথ্য ক্রিটেসিয়াস যুগে প্রাণীদের মধ্যে মিথষ্ক্রিয়া সম্পর্কের নতুন দিক তুলে ধরতে পারে।