ঘরের মেয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় আনন্দে ভাসছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ। তারইমধ্যে নবনির্বাচিত রꦓাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাই তারিণীসেন টুডু উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানালেন, ছেলেবেলা থেকে অনেক লড়াই করে আজ দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন দিদি। এই লড়াইটা সকলকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
বৃহস্পতিবার প্রথম আদিবাসী হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হ💃য়েছেন দ্রৌপদী। সেই ঐতিহাসিক জয়ের পর সংবাদসংস্থা এএনআইকে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির ভাই বলেন, ‘আমার অত্যন্ত আনন্দিত যে আমার দিদি রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। যিনি একজন আদিবাসী মহিলা। ছোটোবেলা থেকে ꦬঅনেক লড়াই করেছে। সকলের জন্য এটা অনুপ্রেরণার।’
আরও পড়ুন: Who is Droupadi Murmuও: দ্রৌপদী মুর্ম💞ু মানেই ইতিহাস রচনা! ভারতের নয়া রাষ্ট্রপতি কে আসলে?
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্♒রপতি নির্বাচনের ভোটগণনা হয়। ২,৮২৪ টি ভোট পেয়েছেন এনডিএ জোটের প্রার্থী দ্রৌপদী। ভোটমূল্য ৬৭৬,৮০৩। অন্যদিকে, বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা ১,৮৭৭ টি ভোট। তাঁর প্রাপ্ত ভোটমূল্য হচ্ছে ৩৮০,১৭৭। তবে 🏅চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে দ্রৌপদী জিতছেন। তৃতীয় রাউন্ডেই মোট বৈধ ভোটের ৫০ শতাংশের গণ্ডি পেরিয়ে যান দ্রৌপদী।
দ্রৌপদী মুর্মুর পরিচয়
- ১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার এক সাঁওতালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন দ্রৌপদী মুর্মু। গ্রামের প্রথম মহিলা হিসেবে কলেজে পড়ার জন্য ভুবনেশ্বরে পা রেখেছিলেন। ভুবনেশ্বরের রমাদেবী উইমেন্স কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতকের পড়াশোনা শেষ করেছিলেন।
- ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ওড়িশা সরকারের জলসম্পদ ও শক্তি দফতরে জুনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টার সাম্মানিক শিক্ষক ছিলেন।
- ১৯৯৭ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন দ্রৌপদী। পরবর্তীতে রায়রংপুর উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপ🧔তি নির্বাচন: মিলে গ𒀰েল শুভেন্দুর অঙ্ক, বাংলাতেও ক্রশ ভোটিং! কে দিলেন ভোট?
- ওড়িশার দু'বারের বিধায়ক ছিলেন আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী। ২০০০ সাল এবং ২০০৪ সালে বিজেপির টিকিটে ময়ূরভঞ্জ জেলার রায়রাংপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতেছিলেন।
- ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল দ্রৌপদীর হাতে। পরিবহণ, মৎস্য এবং পশুপালন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন (একটানা ছিলেন না)। তারইমধ্যে ২০০৭ সালের ওড়িশার সেরা বিধায়ক হয়েছিলেন (নীলকণ্ঠ পুরস্কার)।
- ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন আদিবাসী নেত্রী।