বৃহস্পতিবারের বড় বৈঠকে মিলল সুফল। খাদ্য ও ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনায় বসে ভোজ্যতেল সংস্থাগুলি। তারপরই, ভোজ্য তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বিশ্বব্যাপী এখন এমনিতেই ভোজ্যতেলের দাম হ্রাস পাচ্ছে। তার সুপ্রভাব এবার ভারতীয়দের পকেটেও পড়বে। শীঘ্রই লিটারে ১০-১২ টাকা করে দাম কমানো হবে। কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সূত্রে মিলল এমনটাই খবর।তবে এর আগেও ভোজ্যতেল সংস্থাগুলি কিছুটা দাম কমিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের মতে, বিশ্বব্যাপী তেলের দাম এখন অনেকটাই স্বাভাবিকের পথে। ফলে দাম সংশোধন করে আরও কমানোর সুযোগ রয়েছে। এমনটাই বললেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় আধিকারিক।বিশ্বব্যাপী দাম কমছে, তাতে ভারতের কী লাভ?রবিবারের সকাল। সানফ্লাওয়ার অয়েলে গরম গরম লুচি ভাজছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার কড়াইয়ের তেলটি, হয়তো ইউক্রেনে ফোটা কোনও সূর্যমুখী ফুল থেকে এসেছে!আসলে, ভারতে রান্নার তেলের দুই-তৃতীয়াংশ বিদেশ থেকেই আমদানি করা হয়। এদিকে সাম্প্রতিক কয়েক মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব, ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল রপ্তানিতে সংক্ষিপ্ত নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি কারণে হু-হু করে দাম বেড়েছে। আর তার ফলে বেশি দামে তেল আমদানি করেছে সংস্থাগুলি। ফলে লাভ বজায় রাখতে দাম বাড়িয়েছিলেন তাঁরা।ভারত পাম তেল আমদানির জন্য ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার উপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে সূর্যমুখী তেল এবং সয়াবিন তেল আসে ইউক্রেন, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং রাশিয়া থেকে। ভারতের বার্ষিক ভোজ্যতেল আমদানির পরিমাণ প্রায় ১.৩ কোটি টন।গত দুই মাসে যদিও, ছবিটা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া পরিস্থিতিও অনেকটা শান্ত। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে।বাজারের তথ্য অনুযায়ী, এক মাস আগের তুলনায় ২৯ জুলাই পাম তেলের দাম টন প্রতি ১৪% কমেছে। একইভাবে, সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের দাম ৪-১৪% হ্রাস পেয়েছে। গত মে মাস থেকে তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে মোট ৩টি বৈঠক করেছে কেন্দ্র। গত ৬ জুলাই সরকার ঠিক একইরকম এক পর্যালোচনা করে। সেবারেও তেল সংস্থাগুলিকে দাম কমাতে বলা হয়।