ভারতে অনলাইন পড়াশোনার জগতে যুগান্তারী পরিবর্তন এনেছিল বাইজুস। সেই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা বাইজু রবীন্দ্রন এবার বড় বিপাকে। এমনিতেই ইডির নজরে ছিলেন বাইজু। তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই সবের মাঝে এবার বাইজু রবীন্দ্রনের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। সেই নোটিশ অনুযায়ী, দেশ ছাড়তে বারণ করা হয়েছে বাইজুকে। এর আগে বহু হাইপ্রোফাইল ব্যবসায়ী অর্থ তছরুপ করে দেশ থেকে পালিয়েছিলেন। বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী, মেহুল চোকসিদের মতো ব্যবসায়ীদের মতো যাতে বাইজুও দেশ না ছাড়তে পারেন, তার জন্যেই তৎপর ইডি। (আরও পড়ুন: নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্যে 'ওপেন-বুক' পরীক্ষার প্🎶রস্তাব বোর্ডের: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: লাল ফিতের জট কাটিয়ে আরও দ্রুত গতিতে ছুটবে রকেট, বড় সিদ্ধান্ত মোদী🐬 সরকারের
প্রসঙ্গত, 'ফরেন এক্সচঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে'র অধীনে তদন্ত চলছে বাইজুসের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে বহু আগেই বাইজু রবীন্দ্রনের মালকানাধীন তিনটি অফি🎐সে তল্লাশি চালিয়েছ♓িলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ডিজিটাল ডেটা হাতে এসেছে বলে দাবি করেন ইডি তদন্তকারীরা। সেই সব নথি এবং ডিজিটাল ডেটা ইডির তরফে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: EPFO-র🅰 তথ্য ফাঁস করে 'রিপ্যাকেজিং' চিনা ♈সংস্থার, চাঞ্চল্যকর দাবি রিপোর্টে
উল্লেখ্য, বাইজুর পিছনে অনেকদিন ধরেই পড়েছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, কোম্পানিটি ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মোট ২৮ হাজার কোটি মূল্যের বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বা এফডিআই পেয়েছে। এদিকে একই সময়ে বিদেশে সরাসরি বিনিয়োগের নামে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। এদিকে বিদেশে বিজ্ঞাপনের নামে সংস্থাটি নাকি ৯৪৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছে দেশের বাইরে। তবে কোম্পানিটি ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে সময়মতো তাদের ফিন্যানশিয়াল স্টেমেন্ট তৈরি করেনি এবং অডিটও করায়নি। পরে ২০২২ সালের অডিট রিপোর্টে দেখা যায়, বাইজুস-এর প্রায় ৬ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়। বাইজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমেরিকায় বাইজু'স আলফা নামক একটি সংস্থা খুলে সেখানে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সরানো হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, বাইজুস আলফা একটি কর্মীহীন, নꩲন-অপারেটিভ মার্কিন সংস্থা। তবে তদন্তকারীদের সেই দাবি অস্বীকার করে বাইজুস।
জানা গিয়েছে, এডটেক সংস্থার ৩০ শতাংশের মালিক এক কনসোর্টিয়াম রবীন্দ্রনকে বাইজুস থেকে সরাতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই আবহে শুক্রবারে 'এক্সট্রাঅর🥀্ডিনারি জেনারেল মিটিং' বা ইজিএম ডাকা হয়েছিল। তবে কর্ণাটক হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিল, আগামী শুনানি পর্যন্ত বাইজুসর সেই 'ইজিএম'-এ নেওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তা কার্যকর করা যাবে না। এদিক🦹ে উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে 'হার' হিসেবে দেখতে নারাজ বিনিয়োগকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, আদালত ইজিএম না করার নির্দেশ দেয়নি, বা এটাও বলেনি যে এই ইজিএম বেআইনি। তাই সেই ইজিএম হবে। এরই মধ্যে ইডির লুকআউট নোটিশে যেন আরও বিপাকে রবীন্দ্রন।